ওয়ালটন এসি ১.৫ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ - ওয়ালটন ১.৫ টন এসির দাম কত
ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ বা ওয়ালটন ২ টন এসির দাম সম্পর্কে আমরা
আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। এই গরমে বাড়ীতে একটি এসি না
থাকলেই নয়। কেননা এই গরমে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
তবে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের বাজারে ওয়ালটন এসি ২ টন
প্রাইস, তার ফিচার, কেনার আগে কী কী জানা দরকার, এবং আরও অনেক কিছু।
পোস্ট সূচিপত্র: ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ - ওয়ালটন ২ টন এসির
দাম
ওয়ালটন ২ টন এসির মডেল ও প্রাইস ইন বাংলাদেশ
এই সময়টি হচ্ছে গ্রীষ্মকাল এবং এই গরমে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে যখন রোদে
তাপ অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। তাই আমরা এই গরম থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য
সিদ্ধান্ত নেই একটি এসি কেনার। যদি আপনি সিন্ধান্ত নিয়ে থাকে ওয়ালটনের ২ টন
এসি নেওয়ার তবে নিচে জেনে নিন ওয়ালটন ২ টন এসির মডেল ও প্রাইস ইন বাংলাদেশ
সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্রঃ নং
|
মডেলের নাম
|
প্রাইজ/মূল্য
|
০১
|
WSI-DIAMOND-24M [FROST CLEAN]
|
Tk.79,900 EXCHANGE PRICE: TK. 59,925
|
০২
|
WSN-DIAMOND-24H
|
Tk.79,900
|
০৩
|
WSN-KRYSTALINE-24H
|
Tk.80,400
|
০৪
|
WSN-RIVERINE-24BH
|
Tk.83,990
|
০৫
|
WSI-OCEANUS-24M
|
Tk.86,990 EXCHANGE PRICE: TK.65,243
|
০৬
|
WSN-KRYSTALINE-24HH
|
Tk.86,990
|
০৭
|
WSI-DIAMOND-24H
|
Tk.89,900 EXCHANGE PRICE: TK. 67,425
|
০৮
|
WSI-KRYSTALINE-24H [PLASMA]
|
Tk.89,900 EXCHANGE PRICE: TK. 67,425
|
০৯
|
WSI-DIAMOND-24H [SMART]
|
Tk.91,400 EXCHANGE PRICE: TK. 68,550
|
১০
|
WSI-KRYSTALINE-24H [SMART PLASMA]
|
Tk.91,900 EXCHANGE PRICE: TK. 68,925
|
১১
|
WSI-AVIAN (SUPERSAVER)-24H [PLASMA]
|
Tk.92,600 EXCHANGE PRICE: TK. 69,450
|
১২
|
WSI-COATEC (SUPERSAVER)-24H
|
Tk.92,600 EXCHANGE PRICE: TK. 69,450
|
১৩
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-24H [PLASMA]
|
Tk.92,600 EXCHANGE PRICE: TK. 69,450
|
১৪
|
WSI-OCEANUS (VOICE CONTROL)-24H [UV-CARE]
|
Tk.92,600 EXCHANGE PRICE: TK. 69,450
|
১৫
|
WSI-COATEC (SUPERSAVER)-24H [UV]
|
Tk.93,600 EXCHANGE PRICE: TK. 70,200
|
১৬
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-24H [SMART PLASMA]
|
Tk.94,600 EXCHANGE PRICE: TK. 70,950
|
১৭
|
WSI-KRYSTALINE-24HH
|
Tk.94,990 EXCHANGE PRICE: TK. 71,243
|
১৮
|
WSI-ACC (DIGITAL DISPLAY)-24H
|
Tk.95,990 EXCHANGE PRICE: TK. 71,993
|
আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম, ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ বা
ওয়ালটন ২ টন এসির দাম সম্পর্কে। তবে মনে রাখুন প্রিয় পাঠকবৃন্দ, ওয়ালটন ২ টনের
ফ্রিজগুলোর মূল্য যেকোনো সময় আমাদের বলা দামের চেয়ে একটু কম-বেশি হতে পারে (তবে
তার সম্ভাবনা খুবই কম)। তাই আপনি যে মডেলটি কিনতে চান তার নির্ধারিত দাম জানতে
আপনি ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একবার চেক করে নিন।
নিচে চেক করার নিয়ম বলা হলো:
-
ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.waltonbd.com/ এ
যান।
-
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “Air Conditioner বা AC” ট্যাব দেখতে পাবেন সেখানে
ক্লিক করুন।
-
এরপর আপনি যে এসিটি কিনতে চাচ্ছেন তার তথ্যসমূহ প্রদান করুন যেমন: কত টন,
ইনভাটার নাকি নন-ইনভাটার, দাম ও ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে জেনে নিন।
-
আপনি চাইলে ওয়ালটের অফিসিয়াল শোরুমে গিয়েও দাম জেনে আসতে পারেন।
আপনি ওয়ালটন এসি কেন বেছে নেবেন?
আমরা উপরে জেনে এসেছি, ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে। আর এখন
আমরা আলোচনা করবো এবং জানবো আপনি ওয়ালটন এসি কেন বেছে নেবেন? তা সম্পর্কে।
চলুন তবে জেনে আসা যাক।
ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি নিজস্ব প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা বিভিন্ন
ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে এবং তাদের মধ্যে এসি অন্যতম। একজন গ্রাহক যখন এসি
কেনার সিদ্ধান্ত নেই, তখন অনেক কিছু বিবেচনা করেন-দাম, মান, সেবা, বিদ্যুৎ
সাশ্রয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা।
ওয়ালটন এই সবদিক থেকেই নিজেদের একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে। দেশীয়ভাবে
উৎপাদিত হওয়ায় এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং দেশের আবহাওয়া উপযোগী করে এই এসি
ডিজাইন করে তারা। এই কারণে গ্রাহকরা মনে করেন, ওয়ালটনের এসি দীর্ঘস্থায়ী এবং
খরচ সাশ্রয়ী।
ওয়ালটন এসি কেনার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের বিক্রয়োত্তর সেবা। দেশের
প্রায় প্রতিটি জেলায় ওয়ালটনের নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার রয়েছে যেখানে দ্রুত ও
নিখুঁতভাবে এসির মেরামত বা পরিসেবা প্রদান করা হয়। অনেক সময় দেখা যায়,
বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সার্ভিস সেন্টার দেশের বাইরে থাকায় ছোটখাটো সমস্যার
সমাধানে অনেক সময় ও টাকা ব্যয় করতে হয়। এই দিক থেকে ওয়ালটন অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এছাড়া তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে, যা গ্রাহকদের মানসিক
স্বস্তি দেয়।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ওয়ালটন এসির দাম অন্যান্য আন্তর্জাতিক
ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী। মান ও ফিচার কাছাকাছি হলেও ওয়ালটনের
পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ
করে যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের, তারা ওয়ালটনকে সহজেই বেছে নিতে পারেন। একই সঙ্গে
ওয়ালটনের অনেক মডেলেই পাওয়া যায় ইএমআই সুবিধা ও ডিসকাউন্ট অফার, যা একজন
সাধারণ ক্রেতার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
সর্বশেষে বলা যায়, একজন ক্রেতা যদি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়,
দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং ভালো সেবা চান, তাহলে ওয়ালটন এসি নিঃসন্দেহে
একটি চমৎকার পছন্দ। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা
দিন দিন বাড়ছে। সাশ্রয়ী দাম এবং উন্নত প্রযুক্তির মিশেলে ওয়ালটন এখন শুধুই
আরেকটি ব্র্যান্ড নয়, বরং বাংলাদেশিদের গর্বের একটি নাম।
ওয়ালটন ২ টন এসির মূল ফিচারসমূহ কি কি?
আমরা উপরে জেনে নিলাম আপনি ওয়ালটন এসি কেন বেছে নেবেন? এবং এর আগে আমরা জেনে
এসেছি ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে। আর এখন আমরা জানবো,
ওয়ালটন ২ টন এসির মূল ফিচারসমূহ কি কি? তা সম্পর্কে। চলুন জেনে আসা যাক।
শক্তিশালী কুলিং প্রযুক্তি:
ওয়ালটনের ২ টন এসিগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ও শক্তিশালী কুলিং
প্রযুক্তি যা দ্রুত কক্ষের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে। বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল
অত্যন্ত উষ্ণ হওয়ায় এমন কার্যকর প্রযুক্তির চাহিদা বেশি। ওয়ালটন এসির ফ্যান
ব্লোয়ার ও হাই এফিশিয়েন্সি কম্প্রেসার একত্রে কাজ করে রুম ঠাণ্ডা করে মাত্র
কয়েক মিনিটে। এমনকি যখন ঘরের তাপমাত্রা বাইরে থেকে অনেক বেশি থাকে, তখনও এই
এসি স্বাভাবিক কাজ করে এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফিচার:
এই এসিগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তি, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে
বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনে। সাধারণ এসির তুলনায় ওয়ালটনের ইনভার্টার এসি ৪০%
পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সক্ষম। এর ফলে দীর্ঘসময় এসি ব্যবহার করলেও
বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে না। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হওয়ার কারণে এটি পরিবেশবান্ধবও বটে,
যা বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
স্মার্ট ফিচার ও ইউজার কন্ট্রোল:
ওয়ালটন ২ টন এসিতে রয়েছে স্মার্ট ফিচার যেমন ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, মোবাইল
অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ, স্মার্ট সেন্সর যা রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কুলিং
অ্যাডজাস্ট করে। অনেক মডেলে রয়েছে LED ডিসপ্লে, টাইমার সেটিংস, স্লিপ মোড ও
চাইল্ড লক সুবিধা। এই সব ফিচারগুলো একজন ব্যবহারকারীর জন্য সহজ ও আরামদায়ক করে
তোলে এসি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা।
টেকসই নির্মাণ ও পরিবেশবান্ধব গ্যাস:
ওয়ালটনের এসিগুলোতে ব্যবহৃত হয় R32 অথবা R410A নামক পরিবেশবান্ধব
রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, যা ওজন স্তরের ক্ষতি করে না। এছাড়াও এই এসিগুলোর বডি
মেটেরিয়াল বেশ শক্তপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী। রাষ্ট্রীয় মান বজায় রেখে প্রতিটি
এসি তৈরি করা হয় যাতে দীর্ঘমেয়াদে এর কার্যকারিতা বজায় থাকে। ফলে, একবার এসি
কিনলে অনেক বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।
ওয়ালট এসির বিভিন্ন মডেল ও তাদের মধ্যে পার্থক্য
ওয়ালটন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ২ টন এসি মডেল নিয়ে এসেছে, যার প্রতিটির
বৈশিষ্ট্য কিছুটা ভিন্ন। যেমন: কিছু মডেলে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তি, আবার
কিছু মডেল সম্পূর্ণ স্ট্যান্ডার্ড প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। ওয়ালটনের অন্যতম
জনপ্রিয় মডেলগুলোর মধ্যে রয়েছে Walton WSI-KRYSTALINE-24HH, Walton WSI-ACC
(DIGITAL DISPLAY)-24H এবং Walton WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-24H [SMART
PLASMA]। এসব মডেলের ফিচার এবং দামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যা ক্রেতাদের
বিভিন্ন চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন করতে সাহায্য করে।
একটি মডেল হতে পারে উচ্চ পারফরম্যান্স ভিত্তিক কিন্তু তার দাম বেশি যা আমরা
উপরে আলোচনা করে এসেছি, অন্যদিকে আরেকটি মডেল কম দামে সাধারণ ফিচার দিতে পারে।
যেমন ইনভার্টার মডেলগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলেও কিছুটা ব্যয়বহুল। অপরদিকে
নন-ইনভার্টার মডেলগুলো কম দামে পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতে
পারে। তাই ক্রেতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তার বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী।
বিভিন্ন মডেলে ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্নধর্মী ডিজাইন ও ফিনিশিং। কিছু মডেলে
আছে কালো গ্লাস ফিনিশ, আবার কিছু মডেলে সাদা ক্লাসিক লুক। এছাড়া কিছু মডেলে
রিমোট কন্ট্রোলের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রযুক্তির
দিক থেকেও প্রতিটি মডেল ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়।
ওয়ালটনের প্রতিটি মডেলেই পাওয়া যায় স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি সুবিধা। তবে
ইনভার্টার মডেলগুলোতে কম্প্রেসারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ওয়ারেন্টি প্রদান করা
হয়। এর ফলে একজন ক্রেতা নির্ভরতার সাথে নিজের পছন্দ অনুযায়ী মডেল বেছে নিতে
পারেন। মডেলের ভিন্নতা ও ফিচারের ভিত্তিতে এই ব্র্যান্ডে সকল শ্রেণির মানুষের
জন্য কিছু না কিছু রয়েছে।
ইনভার্টার বনাম নন-ইনভার্টার এসি: কোনটি ভালো হবে?
চলুন জেনে আসা যাক এসির মধ্যে কোনটি ভালো হবে ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার।
আমরা এটি নিয়ে অনেক দ্বিধাদন্দের মাঝে পড়ে যায়। চলুন বিষয় পরিষ্কার হওয়া
যাক।
ইনভার্টার এসি:
ইনভার্টার এসি এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী
কম্প্রেসারের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে এসি চলাকালীন সময় কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এই ধরনের এসি ঘরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখে এবং একটানা চালালে খুব
বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে না। ইনভার্টার এসি মূলত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে
বিবেচিত, কারণ প্রাথমিক দাম একটু বেশি হলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কারণে পরবর্তী
খরচ অনেক কম হয়।
নন-ইনভার্টার এসি:
নন-ইনভার্টার এসিগুলো সাধারণত কম দামে বাজারে পাওয়া যায়। এটি অন-অফ মোডে কাজ
করে, অর্থাৎ ঘর যখন ঠাণ্ডা হয়ে যায় তখন এটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপমাত্রা বাড়লে
আবার চালু হয়। এতে করে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে যারা কম বাজেটে
এসি ব্যবহার করতে চান এবং বেশি সময় এসি চালান না, তাদের জন্য এটি একটি
গ্রহণযোগ্য বিকল্প হতে পারে।
কোনটি বেশি টেকসই ও সুবিধাজনক?
ইনভার্টার এসি কম্প্রেসার বারবার অন-অফ না হওয়ায় এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং
কম ক্ষয় হয়। অন্যদিকে নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার বারবার চালু ও বন্ধ হয়
বলে বেশি পরিধানে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই টেকসইতার
দিক থেকে ইনভার্টার এসি অনেক বেশি এগিয়ে।
কোনটি বেছে নিবেন?
যদি আপনি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করেন এবং বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তিত
হন, তাহলে ইনভার্টার এসিই হবে সেরা। তবে আপনি যদি অল্প সময়ের জন্য এসি চালান
বা বাজেট সীমিত থাকে, তাহলে নন-ইনভার্টারও একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। সবশেষে,
সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার ব্যবহারের ধরন, বাজেট এবং ঘরের আকার বিবেচনা
করা সবচেয়ে জরুরি।
ওয়ালটন এসি কোথায় থেকে কিনলে ভালো হবে?
ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা উপরে জেনে এসেছি, জেনেছি
এর মডেলসমূহ ও মূল্য। এবার আমরা আলোচনা করবো এবং জানবো ওয়ালটন এসি কোথায় থেকে
কিনলে ভালো হবে?
ওয়ালটন এসি কেনার সময় নির্ভরযোগ্য উৎস নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুম ও অথরাইজড ডিলার রয়েছে। এই
শোরুম থেকে এসি কিনলে আপনি পাবেন আসল পণ্য, সাথে নির্দিষ্ট ওয়ারেন্টি এবং
ইনস্টলেশন সুবিধা। অনেক সময় নকল পণ্য বাজারে প্রচলিত থাকে, যা দেখতে একরকম
হলেও কার্যক্ষমতায় অনেকটাই পিছিয়ে। তাই ভুয়া বা অবিশ্বস্ত দোকান থেকে কেনা
একেবারেই ঠিক নয়।
আরেকটি ভালো উৎস হলো ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ভেরিফাইড ই-কমার্স
প্ল্যাটফর্ম যেমন Daraz, Pickaboo, Rokomari। এখান থেকে আপনি সঠিক দামে,
নির্দিষ্ট গ্যারান্টি সহ প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন এবং ঘরে বসেই ইনস্টলেশন ও
সার্ভিসের সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে যারা ব্যস্ত বা শহরের বাইরের এলাকায় থাকেন,
তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে খুব সহজেই এসি অর্ডার করতে পারেন।
অনলাইন থেকে কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই করে দেখুন প্রোডাক্টের রিভিউ, রেটিং
এবং সেলার কতটা নির্ভরযোগ্য। সাধারণত ওয়ালটনের নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে
অর্ডার করলেই আপনি নিশ্চিত থাকবেন পণ্যের মান ও সার্ভিস নিয়ে। তবে সবচেয়ে
নিরাপদ ও লাভজনক হলো- নিজ এলাকায় অবস্থিত ওয়ালটনের অনুমোদিত শোরুম থেকে এসি
কেনা। কারণ সেখানে আপনি শুধু প্রোডাক্টই পাবেন না, সাথে পাবেন পরামর্শ,
ইনস্টলেশন, রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা এবং সার্ভিস সংক্রান্ত প্রতিটি সমস্যার
তাৎক্ষণিক সমাধান।
ওয়ালটন এসি ইনস্টলেশন ও সার্ভিস সুবিধা কেমন?
ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে তাদের ইনস্টলেশন এবং বিক্রয় পরবর্তী
সেবা। এসি কেনার পর সঠিকভাবে ইনস্টলেশন না হলে এসির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে
পারে, এমনকি বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে। এই জন্য ওয়ালটনের পক্ষ থেকে দক্ষ
টেকনিশিয়ান এসে এসি ইনস্টল করে দিয়ে যায়, যারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং
অভিজ্ঞ। ইনস্টলেশনের সময় আপনি চাইলে এসি কোথায় বসানো হবে, তা নিয়ে পরামর্শ
নিতে পারেন। টেকনিশিয়ানরা ঘরের গঠন এবং এয়ারফ্লো অনুযায়ী আপনাকে উপযুক্ত
স্থান নির্ধারণে সাহায্য করবে। এছাড়া ওয়ালটন ইনস্টলেশন চার্জ অনেকটাই
প্রতিযোগিতামূলক এবং কখনো কখনো প্রোমোশনাল অফারে একেবারে ফ্রি।
ওয়ালটন এসি নিয়ে যদি ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আপনি তাদের হেল্পলাইন
বা অ্যাপে রিপোর্ট করতে পারবেন। সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টেকনিশিয়ান
এসে সমাধান দিয়ে যায়। তাদের কাস্টমার কেয়ারও খুব দ্রুত রেসপন্স করে এবং
ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো- ওয়ালটন এসির
জন্য তারা ৫ থেকে ১০ বছরের কমপ্রেসার ওয়ারেন্টি এবং ১ থেকে ৩ বছরের সার্ভিস
ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। অনেক সময় অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এসি রিপেয়ার বা পার্টস
রিপ্লেস করে দিচ্ছে। এইরকম সুবিধা সব ব্র্যান্ড দেয় না।
ওয়ালটন এসি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়?
বর্তমানে সবাই চায় এমন একটি এসি যেটা ঠান্ডা করবে ঠিকই, কিন্তু বিদ্যুৎ বিল
যেন হালকা থাকে। ওয়ালটন এই দিকটি ভালোভাবেই বুঝে, তাই তাদের বেশিরভাগ মডেলেই
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইনভার্টার এসি
সাধারণ এসির তুলনায় প্রায় ৬০% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। ওয়ালটনের
কিছু মডেলে আছে "Smart ECO" ফিচার, যা ঘরের তাপমাত্রা বুঝে নিজেই কম-বেশি কুলিং
করে। এতে কম্প্রেসর বারবার চালু বা বন্ধ হয় না, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। আর
যারা দীর্ঘক্ষণ এসি ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই প্রযুক্তি অত্যন্ত
উপকারী।
এছাড়াও ওয়ালটনের এসিগুলোতে ব্যবহৃত হয় উন্নত কমপ্রেসার ও কপার কনডেনসার, যা
দ্রুত ঠান্ডা করে এবং তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে এসিকে বেশি সময়
চালু রাখতে হয় না এবং বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। সরকারি অনুমোদিত BEE- Bureau of
Energy Efficiency (শক্তি দক্ষতা ব্যুরো) রেটিং অনুযায়ী ওয়ালটনের বেশ কয়েকটি
এসি ৩ থেকে ৫ স্টার পর্যন্ত বিদ্যুৎ দক্ষতার প্রমাণ বহন করে। ফলে যারা বিদ্যুৎ
বিল নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য ওয়ালটন একটি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী পছন্দ হতে
পারে।
অন্যান্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে ওয়ালটন এসি তুলনা
যখন আমরা ওয়ালটন এসির কথা বলি, তখন এর সাথে তুলনা চলে আসে স্যামসাং, এলজি,
হায়ার, জেনারেল, মিতসুবিশি প্রভৃতি নামী ব্র্যান্ডের সাথে। এসব ব্র্যান্ড অনেক
বছর ধরেই আন্তর্জাতিকভাবে বাজারে আছে, তবে বাংলাদেশে ওয়ালটন ক্রমাগত নিজেকে
প্রমাণ করে চলেছে। যেমন ধরুন, গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর এসির দাম তুলনামূলক অনেক
বেশি। ২ টন এসির ক্ষেত্রে যেখানে একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের দাম পড়ে ৮০,০০০ টাকা
বা তার বেশি, সেখানে ওয়ালটনের দাম ৬০,০০০ টাকার আশেপাশে। অথচ ফিচার, কুলিং
স্পিড, এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়- সবদিক থেকেই ওয়ালটন কোনো অংশে কম নয়।
আরেকটি দিক হলো- বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সার্ভিস সেন্টার বা ওয়ারেন্টি ক্লেইমে
অনেক সময় লাগে, অথচ ওয়ালটন বাংলাদেশের কোম্পানি হওয়ায় দ্রুত ও সহজেই
সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। তারা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সার্ভিস
সেন্টার এবং কল সাপোর্ট চালু রেখেছে। তবে মান এবং দীর্ঘমেয়াদে পারফর্মেন্সের
দিক থেকে দেখা যায়- ওয়ালটন এখন অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং
বিশ্বমানের এসি তৈরি করছে। ইনভার্টার প্রযুক্তি, কপার টিউব,
এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার, স্মার্ট মোড ইত্যাদি সব আধুনিক ফিচার এখন
ওয়ালটনের এসিতেও সহজলভ্য।
সব মিলিয়ে দাম, ফিচার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, সার্ভিস এবং অ্যাভেইলেবিলিটি বিবেচনা
করলে ওয়ালটন এখন আর শুধুই দেশি ব্র্যান্ড নয়- এটি একটি পরিপূর্ণ প্রতিযোগী
ব্র্যান্ড যা আন্তর্জাতিক মানের সাথে পাল্লা দিচ্ছে।
এসি কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জেনে নিন
আমরা জেনেছি ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে। এছাড়া আমরা আমাদের
মূল বিষয়টির বাহিরেও আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আর এখন
আপনাদের এসি কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিবো যা আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আমরা মনে করছি।
-
রুমের আকার বিবেচনা করুন: এসির টন মান নির্ভর করে রুমের মাপের উপর।
ছোট রুমে ১ টন যথেষ্ট হলেও বড় রুমের জন্য ২ টন বা তার বেশি দরকার হতে
পারে। ভুল টনের এসি কিনলে ঠান্ডা ঠিকমতো হবে না, আবার বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে
যাবে।
-
ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার: যদি এসি দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার
পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ইনভার্টার এসি বেশি কার্যকর হবে। এটা বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী এবং কম শব্দে চলে। তবে নন-ইনভার্টার তুলনামূলক সস্তা, তাই বাজেটের
উপর নির্ভর করে বেছে নিন।
-
এনার্জি রেটিং দেখুন: যে এসিতে উচ্চ এনার্জি রেটিং (৩ থেকে ৫
স্টার) আছে সেটাই কিনুন। এতে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কমবে।
-
ফিচার যাচাই করুন: স্মার্ট মোড, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাইল অ্যাপ,
ডিহিউমিডিফায়ার, ফিল্টারিং সিস্টেম- এসব আধুনিক ফিচার এসির কার্যকারিতা
বাড়িয়ে দেয়।
এসি রক্ষণাবেক্ষণ ও দীর্ঘস্থায়িত্ব করার নিয়ম
একটি এসি কেনার পরে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এসিটির সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা।
ওয়ালটন ২ টন এসি দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারে যদি এটি সঠিক নিয়মে
পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। চলুন জেনে আসা যাক এসি রক্ষণাবেক্ষণ ও
দীর্ঘস্থায়িত্ব করার নিয়ম সম্পর্কে।
-
নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করুন: এসির এয়ার ফিল্টার ধুলাবালি জমে
গেলে কুলিং কমে যায় এবং বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। তাই মাসে অন্তত একবার
ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত।
-
আউটডোর ইউনিট পরিষ্কার রাখুন: আউটডোর ইউনিটে ময়লা জমলে কমপ্রেসার
বেশি চাপ পড়ে। মাঝে মাঝে বাইরে থেকে ধুলো ঝেড়ে ফেলুন এবং প্রয়োজনে
সার্ভিসিং করান।
-
বছরে অন্তত একবার সার্ভিসিং করান: এক্সপার্ট টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে
পুরো এসি সিস্টেম চেক ও সার্ভিসিং করান। এতে যেকোনো সমস্যা আগে থেকেই ধরা
পড়বে এবং এসির আয়ু বাড়বে।
-
এসির ব্যাক-আপ না থাকলে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন: অনেক এলাকায়
ভোল্টেজ ওঠানামা করে। এতে এসির কমপ্রেসার নষ্ট হতে পারে। তাই একটি ভালো
মানের স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা উচিত।
শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেল অর্থাৎ ওয়ালটন এসি ২ টন প্রাইস
ইন বাংলাদেশ’এর শেষ অংশে চলে এসেছি এবং আমরা শেষ অংশে এসে বলতে পারি যে,
ওয়ালটন এসি এখন আর কেবলমাত্র দেশি ব্র্যান্ড হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি
একটি বিশ্বমানের প্রতিযোগী ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আপনি যদি
সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের এসি খুঁজে থাকেন, তাহলে ওয়ালটন ২ টন এসি আপনার
জন্য হতে পারে সেরা পছন্দ। এর ইনভার্টার প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, সহজ
ইনস্টলেশন, দ্রুত সার্ভিস এবং বাংলাদেশি আবহাওয়ায় মানানসই পারফরমেন্স-
সবমিলিয়ে ওয়ালটন এখন একটি নির্ভরযোগ্য নাম। এসি কেনার আগে সব তথ্য যাচাই করে,
নিজের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক মডেল বেছে নিন- তাহলে আপনার বিনিয়োগ হবে
দীর্ঘস্থায়ী ও লাভজনক।
BLOGGER BD-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url