ওয়ালটন এসি ১.৫ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ - ওয়ালটন ১.৫ টন এসির দাম কত
এই গরমে যদি ঘর ঠান্ডা রাখতে চান, তাহলে এসি একটা আদর্শ সমাধান। কিন্তু প্রশ্ন
হলো- "বাজেটের মধ্যে ভালো এসি কোনটা?" বাংলাদেশের মানুষ যখন ভালো দাম আর মান
খোঁজে, তখন ওয়ালটন একটা ভরসার নাম। আজ আমরা জানবো “ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন
বাংলাদেশ” সম্পর্কে।
আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে আপনার জন্য। তাই শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ার বিশেষভাবে অনুরোধ রইলো। চলুন তবে জেনে আসা যাক ওয়ালটন এসি ১
টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র: ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, চলুন জেনে আসি যাক ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
সম্পর্কে। আমরা নিচে ওয়ালটনের ১ টন এসির বেশ কয়েকটি মডেল ও তার মূল্য উল্লেখ
করেছি, চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক:
ক্রমিক নং
|
মডেলের নাম
|
Air Conditioner Type
|
প্রাইজ/মূল্য
|
০১
|
WSN-DIAMOND-12F
|
Non-Inverter
|
Tk.48,900
|
০২
|
WSN-DIAMOND-12J
|
Non-Inverter
|
Tk.48,900
|
০৩
|
WSI-DIAMOND-12J [FROST CLEAN]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk. 49,900
EXCHANGE PRICE: TK. 37,425
|
০৪
|
WSN-KRYSTALINE-12F
|
Non-Inverter
|
Tk.49,990
|
০৫
|
WSN-KRYSTALINE-12J
|
Non-Inverter
|
Tk.49,990
|
০৬
|
WSI-DIAMOND-12F
|
Intelligent
Inverter
|
Tk. 54,000
|
০৭
|
WSI-KRYSTALINE-12F [PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk. 54,000
|
০৮
|
WSI-DIAMOND-12J
|
Intelligent
Inverter
|
Tk. 54,900
EXCHANGE PRICE: TK. 41,175
|
০৯
|
WSI-KRYSTALINE-12J [PLASMA]
|
Non-Inverter
|
Tk.54,900
EXCHANGE PRICE: TK. 41,175
|
১০
|
WSN-KRYSTALINE-12MH
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.54,000
|
১১
|
WSI-OCEANUS-12J
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.54,990
EXCHANGE PRICE: TK. 41,243
|
১২
|
WSI-DIAMOND-12F [SMART]
|
Intelligent Inverter
|
Tk.56,000
|
১৩
|
WSI-KRYSTALINE-12F [SMART PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.56,000
|
১৪
|
WSI-KRYSTALINE-12J [SMART PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.56,900
EXCHANGE PRICE: TK. 42,675
|
১৫
|
WSI-AVIAN (SUPERSAVER)-12F [PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
|
১৬
|
WSI-AVIAN (SUPERSAVER)-12J [PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
EXCHANGE PRICE: TK. 43,425
|
১৭
|
WSI-COATEC (SUPERSAVER)-12J
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
EXCHANGE PRICE: TK. 43,425
|
১৮
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-12J [PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
|
১৯
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-12M [PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
EXCHANGE PRICE: TK. 43,425
|
২০
|
WSI-OCEANUS (VOICE CONTROL)-12J [UV-CARE]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.57,900
EXCHANGE PRICE: TK. 43,425
|
২১
|
WSI-COATEC (SUPERSAVER)-12J [UV]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.58,900
EXCHANGE PRICE: TK. 44,175
|
২২
|
WSI-KRYSTALINE (ECOZONE)-12F
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.59,290
EXCHANGE PRICE: TK. 44,468
|
২৩
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-12J [SMART PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.59,900
|
২৪
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-12M [SMART PLASMA]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.59,900
EXCHANGE PRICE: TK. 44,925
|
২৫
|
WSI-KRYSTALINE-12JH
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.59,900
EXCHANGE PRICE: TK. 44,925
|
২৬
|
WSI-INVERNA (EXTREME SAVER)-12C [SMART]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.67,990
EXCHANGE PRICE: TK. 50,993
|
২৭
|
WSI-ACC (DIGITAL DISPLAY)-12C [EXTREME SAVER]
|
ProGen Inverter
|
Tk.72,990
EXCHANGE PRICE: TK. 54,742
|
২৮
|
WSI-COATEC (SUPERSAVER)-12F [SOLAR HYBRID]
|
Intelligent
Inverter
|
Tk.86,500 EXCHANGE PRICE: TK. 64,875
|
আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম, ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ
সম্পর্কে। তবে মনে রাখুন প্রিয় পাঠক, ওয়ালটনের এই ফ্রিজগুলোর যেকোনো সময় আমাদের
বলা দামের চেয়ে একটু কম-বেশি হতে পারে। তাই আপনি যে মডেলটি কিনতে চান তার
নির্ধারিত দাম জানতে আপনি ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একবার চেক করে নিন।
নিচে চেক করার নিয়ম বলা হলো:
-
ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.waltonbd.com/ এ
যান।
-
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “Air Conditioner বা AC” ট্যাব দেখতে পাবেন সেখানে
ক্লিক করুন।
-
এরপর আপনি যে এসিটি কিনতে চাচ্ছেন তার তথ্যসমূহ প্রদান করুন যেমন: কত টন,
ইনভাটার নাকি নন-ইনভাটার, দাম ও ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে জেনে নিন।
-
আপনি চাইলে ওয়ালটের অফিসিয়াল শোরুমে গিয়েও দাম জেনে আসতে পারেন।
বাংলাদেশে ওয়ালটন এসির বিভিন্ন মডেল ও দাম
আমরা উপরে জেনে এসেছি, বাংলাদেশে ওয়ালটন ১ টন এসির প্রাইস সম্পর্কে। এখন আমরা
আলোচনা করবো, বাংলাদেশে ওয়ালটন এসির বিভিন্ন মডেল ও দাম সম্পর্কে। চলুন তবে
জেনে আসা যাক।
ক্রমিক নং
|
মডেলের নাম/কত টান এসি/মূল্য
|
০১
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H [PLASMA] Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 1.5 TON (18000 BTU/Hr) Tk.76,990
|
০২
|
WSI-ACC (DIGITAL DISPLAY)-18H Type: ProGen Inverter Refrigerant: R-32 Capacity:1.5 TON (18000 BTU/Hr) Tk.81,900
|
০৩
|
WSI-AVIAN (SUPERSAVER)-18H [PLASMA] Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 1.5 TON (18000 BTU/Hr) Tk.76,500
|
০৪
|
WSI-KRYSTALINE (PRETO)-18M [BLUETOOTH] Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 1.5 TON (18000 BTU/Hr) Tk.78,000
|
০৫
|
WSI-OCEANUS-18M Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 1.5 TON (18000 BTU/Hr) Tk.69,990
|
০৬
|
WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-24H [SMART PLASMA] Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 2 TON (24000 BTU/Hr) Tk.94,600
|
০৭
|
WSI-ACC (DIGITAL DISPLAY)-24H Type: ProGen Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 2 TON (24000 BTU/Hr) Tk.95,990
|
০৮
|
WSI-AVIAN (SUPERSAVER)-24H [PLASMA] Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 2 TON (24000 BTU/Hr) Tk.92,600
|
০৯
|
WSI-KRYSTALINE-24HH Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 2 TON (24000 BTU/Hr) Tk.94,990
|
১০
|
WSI-OCEANUS-24M Type: Intelligent Inverter Refrigerant: R-32 Capacity: 2 TON (24000 BTU/Hr) Tk.86,990
|
১১
|
WSI-RIVERINE-30C Type: Twinfold Inverter Refrigerant: R-410a Capacity: 2.5 TON (30000 BTU/Hr) Tk.127,000
|
বাংলাদেশে এসির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে
তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এসি ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ওয়ালটন
হচ্ছে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড, যারা স্বল্পমূল্যে
ভালো মানের এসি সরবরাহ করে থাকে। ওয়ালটনের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ওয়ালটনের
এসিগুলো দেশে উৎপাদিত হওয়ায় এর খরচ তুলনামূলক কম থাকে। এছাড়াও কোম্পানি প্রায়ই
নানা রকম ছাড়, কিস্তি সুবিধা ও ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে, যেটি ক্রেতাদের জন্য
বেশ সহায়ক। ফলে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন ওয়ালটন এসি কেনার ব্যাপারে আগ্রহী
হচ্ছে। আজকাল অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুম থেকেও সহজে এসি কেনা
যায়, যা পুরো প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
ওয়ালটন ১ টন এসির প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং স্পেসিফিকেশন
ওয়ালটন ১ টন এসিগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উচ্চতর কুলিং পারফরমেন্স,
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং উন্নত ডিজাইন। এসিগুলোতে আধুনিক ইনভার্টার
প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যা এসির কম্প্রেসারকে স্মার্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এর
ফলে কম সময়ে ঘর ঠাণ্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। বেশিরভাগ মডেলেই আছে কপার
কনডেনসার যা দ্রুত তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘদিন
ব্যবহারযোগ্য। ওয়ালটনের কিছু মডেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারও থাকে যা
বাতাসে থাকা জীবাণু দূর করে দেয়, ফলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী, ওয়ালটনের ১ টন এসিগুলো সাধারণত ১২,০০০ বিটিইউ
ক্ষমতাসম্পন্ন হয় যা একটি মাঝারি ঘরের জন্য যথেষ্ট। এতে ব্যবহৃত হয় R410A বা
R32 রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস যা পরিবেশবান্ধব এবং ওজন স্তরে ক্ষতি করে না। কিছু
মডেলে ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকে যা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে
নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এছাড়াও বেশিরভাগ মডেলে আছে এলইডি ডিসপ্লে, রিমোট কন্ট্রোল,
স্লিপ মোড, টার্বো মোড এবং স্মার্ট ডায়াগনসিস সিস্টেম। এইসব ফিচারগুলো
ব্যবহারে দারুণ অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
ওয়ালটনের এসিগুলোতে "গোল্ডেন ফিন" প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে যা এসিকে মরিচা ও
ধুলা থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘদিন ভালো পারফর্ম করে। অনেক মডেলে স্বয়ংক্রিয়
ক্লিনিং ফিচার থাকে যা সময়মতো এসির ভেতর থেকে ধুলা পরিষ্কার করে দেয়। এর ফলে
ফিল্টার অনেকদিন পর্যন্ত পরিষ্কার থাকে এবং বাতাস থাকে বিশুদ্ধ। এই ফিচারগুলো
সাধারণত বিদেশি ব্র্যান্ডে পাওয়া গেলেও ওয়ালটন সেগুলো অনেক কম মূল্যে
দিচ্ছে।
বিভিন্ন মডেল ভেদে রয়েছে ভোল্টেজ প্রোটেকশন সিস্টেম, যা বিদ্যুৎ ওঠানামার সময়
এসিকে রক্ষা করে। এতে আপনার এসি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাবে না বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে
না। এসিগুলোর আকার ও নকশাও বেশ চমৎকার-কম জায়গায় সহজেই ফিট হয় এবং ঘরের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই যারা শুধু শীতলতা নয়, বরং ঘরের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশও
চান, তাদের জন্য ওয়ালটন ১ টন এসি হতে পারে উপযুক্ত পছন্দ।
ওয়ালটন ১ টন এসি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন ঘুরে যে, ওয়ালটন ১ টন এসি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী? চলুন
তবে এটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ালটনের ১ টন এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিক থেকে বেশ প্রশংসনীয়। বেশিরভাগ
মডেলেই এনার্জি এফিশিয়েন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা কম
বিদ্যুৎ খরচে এসি চালাতে সহায়তা করে। ইনভার্টার এসির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো
এটি ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসারকে চালু বা বন্ধ করে না বরং ঘূর্ণনের
গতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বিদ্যুৎ অপচয় কম হয় এবং দীর্ঘ সময় এসি চালালেও বিল
বেশি আসে না। এমনকি দিনে ৮-১০ ঘণ্টা এসি চালালেও মাসিক বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই
নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওয়ালটনের কিছু নির্দিষ্ট মডেল ৫ স্টার এনার্জি রেটিংসহ আসে যা বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ের নিশ্চয়তা দেয়। এই রেটিং বোঝায় একটি পণ্য কতটা বিদ্যুৎ দক্ষ। ৫
স্টার রেটিং মানে হলো এই এসি অন্যান্য সাধারণ এসির তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ
করে। এছাড়াও কিছু মডেলে EER (Energy Efficiency Ratio) অনেক ভালো থাকে, যা এসির
পারফরম্যান্স এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার উভয়কেই নিয়ন্ত্রণ করে। এই ফিচারগুলো থাকায়
ওয়ালটন ১ টন এসিগুলো খুব সহজেই ব্যয়সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রচলিত ধারণা হলো এসি মানেই বেশি বিদ্যুৎ খরচ, কিন্তু ওয়ালটন তার আধুনিক
প্রযুক্তি দিয়ে এই ধারণাকে অনেকটা ভুল প্রমাণ করেছে। তাদের ইনভার্টার
প্রযুক্তির সাহায্যে এখন সাধারণ পরিবারও নির্দ্বিধায় এসি ব্যবহার করতে পারছে।
এসিগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহার সাধারণত ৮০০ থেকে ১১০০ ওয়াটের মধ্যে থাকে যা অন্যান্য
ব্র্যান্ডের তুলনায় অনেকটাই কম। এই কারণে ওয়ালটনের এসিগুলো এখন বাজারে বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী এসি হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বর্তমানে যারা এসি কেনার পরিকল্পনা
করছেন, তারা অনেক সময় বিদ্যুৎ বিল নিয়েই দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু ওয়ালটন ১ টন
এসি কিনলে সেই দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যায়। কারণ এতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রণে
রাখা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে খরচও কম হয়। তাই কেউ যদি বাজেট, কার্যকারিতা ও
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি একসাথে বিবেচনা করতে চান, তাহলে ওয়ালটনের ১ টন এসি
হতে পারে একটি সেরা সমাধান।
ওয়ালটন এসির কুলিং ক্ষমতা কেমন?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা উপরে বিস্তারিতভাবে জেনে এসেছি, ওয়ালটন এসি ১ টন
প্রাইস ইন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে ওয়ালটন এসির বিভিন্ন মডেল ও দাম সহ আরো কিছু
বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আর এখন আমরা জানবো, ওয়ালটন এসির কুলিং ক্ষমতা
সম্পর্কে।
ওয়ালটনের ১ টন এসিগুলোর কুলিং ক্ষমতা সাধারণত ১২,০০০ বিটিইউ, যা একটি ১০০
থেকে ১২০ স্কয়ার ফিটের ঘরের জন্য আদর্শ। এই কুলিং ক্যাপাসিটি যথেষ্ট দক্ষতা
সহকারে ঘরকে দ্রুত ঠাণ্ডা করতে পারে। গরমের তীব্রতা যখন অনেক বেশি থাকে, তখন
দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়া একটি বড় সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। ওয়ালটনের এসিগুলো এই কাজটি
খুব সহজেই করতে পারে। বিশেষ করে ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত মডেলগুলো খুব অল্প
সময়ে ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে। এসির ফ্যান স্পিড, টার্বো
মোড এবং স্মার্ট সেন্সরের মাধ্যমে কুলিং আরও বেশি কার্যকর হয়। কিছু মডেলে এমন
প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যা ঘরের কোণে কোণে ঠাণ্ডা বাতাস পৌঁছে দেয়। এছাড়াও
কুলিংয়ের সময় এসিগুলোর শব্দ অনেক কম, যা ঘুমের সময় বা অফিসের পরিবেশে দারুণ
আরামদায়ক। অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে ওয়ালটনের এসি চালু করলেই কয়েক
মিনিটের মধ্যে ঘর আরামদায়ক হয়ে ওঠে। এটি কেবল প্রযুক্তির গুণেই সম্ভব
হয়েছে।
আরও উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো, ওয়ালটনের এসিগুলোতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট
গ্যাসের গুণমান। অধিকাংশ মডেলে পরিবেশবান্ধব R32 গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা
কুলিং প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর করে তোলে। এই গ্যাস দ্রুত তাপ শোষণ করে এবং
ঘরের বাতাসকে শীতল করে। তাছাড়া এই গ্যাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং ওজোন
স্তরের ক্ষতি করে না। ফলে এসিগুলোর কুলিং ক্ষমতার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার
দিকটিও নিশ্চিত হয়।
সবশেষে বলা যায়, ওয়ালটনের ১ টন এসিগুলো কুলিং পারফরম্যান্সের দিক থেকে দারুণ
কার্যকর। এটি দ্রুত ঠাণ্ডা করে, সমানভাবে ঠাণ্ডা করে এবং ঘরের পরিবেশে স্বস্তি
আনে। তাই যাদের ঘর ছোট বা মাঝারি আকারের, তাদের জন্য এই এসি একটি উপযুক্ত পছন্দ
হতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত কুলিং সিস্টেমের কারণে ওয়ালটন ১ টন
এসিগুলো ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
কোথায় পাবো ওয়ালটন ১ টন এসি?
ওয়ালটন ১ টন এসি এখন বাংলাদেশে প্রায় সব জেলাতেই পাওয়া যায়। শহরে থাকলে
প্রায় সব এলাকায় ওয়ালটনের নিজস্ব শোরুম বা অনুমোদিত ডিলার খুঁজে পাওয়া
যায়। ঢাকার ভিতরে যেমন: মিরপুর, উত্তরা, বনানী বা ধানমন্ডির মতো এলাকায়
ওয়ালটনের বড় বড় শোরুম আছে, তেমনি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর
এমনকি বরিশালেও ওয়ালটন প্লাজা পাওয়া যায়। আবার যারা গ্রামের দিকে থাকেন,
তাদের জন্যও এখন ওয়ালটন সহজলভ্য হয়েছে। উপজেলা সদর বা বড় বাজারে গেলে
ওয়ালটনের অনুমোদিত ডিলাররা পাওয়া যায়, যেখান থেকে এসি কিনতে পারবেন। তবে
শোরুমে যাওয়ার আগে ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ দেখে নেওয়া
ভালো, কোথায় কী অফার চলছে বা কোন মডেলটি স্টকে আছে, তা বুঝে যাওয়া
যায়।
একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দোকানে গিয়ে কেনা অনেক সময় বেশি সুবিধাজনক মনে হতে
পারে, কারণ হাতে নিয়ে দেখে কেনা যায়, বিভিন্ন মডেলের তুলনা করা যায়, আর
দরকষাকষি করাও যায়। অনেক সময় দোকানদার ইনস্টলেশন ফ্রি বা ডিসকাউন্টও অফার করে
থাকে। তবে দোকানে না গিয়ে চাইলে অনলাইনেও অর্ডার করা যায়। ওয়ালটনের নিজস্ব
ওয়েবসাইট (waltonbd.com) থেকে এসি বেছে নিয়ে অর্ডার দিলে, সেটা বাসায় পৌঁছে
দেয়া হয়। যারা ঢাকায় থাকেন, তারা ওয়ালটনের ডেলিভারি সার্ভিস খুব দ্রুত পান।
তবে গ্রামে বা দূরবর্তী এলাকায় সময় একটু বেশি লাগতে পারে।
ওয়ালটন ১ টন এসি কোথায় থেকে কিনলে ভালো হবে: অনলাইনে না অফলাইনে?
এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই থাকে। আমি নিজেও যখন প্রথমবার এসি কেনার কথা
ভাবছিলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না অনলাইনে কিনবো না শোরুমে গিয়ে কিনবো। আসুন
দেখি দুইটার সুবিধা-অসুবিধা কী কী।
অফলাইনে কেনার সুবিধা:
-
১. দেখে-শুনে কেনা যায়: শোরুমে গেলে এসি নিজের চোখে দেখা যায়। রঙ,
ডিজাইন, সাইজ বুঝে নেওয়া যায়।
-
২. দাম কমানোর সুযোগ থাকে: দোকানদারের সঙ্গে দরকষাকষি করলে অনেক সময়
ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
-
৩. ইনস্টলেশন ফ্রি পেতে পারেন: অনেক দোকান ইনস্টলেশন ফ্রি করে দেয় বা
বিশেষ অফার দেয়।
-
৪. প্রত্যক্ষ সার্ভিস: যেকোনো সমস্যা হলে সরাসরি দোকানে গিয়ে কথা বলা
যায়।
অনলাইনে কেনার সুবিধা:
-
১. বাড়ি বসেই অর্ডার: বাসা থেকে বের হতে হয় না, মোবাইলেই অর্ডার দেয়া
যায়।
-
২. সব মডেলের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়: ওয়েবসাইটে সব মডেলের ছবি,
স্পেসিফিকেশন, দাম দেয়া থাকে।
-
৩. অনেক সময় ক্যাশব্যাক অফার থাকে: অনলাইন কেনাকাটায় কিছু সময় বিশেষ
অফার থাকে, যেমন ৫০০ টাকা ছাড় বা কিস্তিতে ০% সুদ।
-
৪. হোম ডেলিভারি সুবিধা: বাসায় বসে পণ্য হাতে পাওয়া যায়, যা সময়
বাঁচায়।
তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে- অনলাইনে অর্ডার দিলে ভালোভাবে রিভিউ দেখে,
ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনতে হবে। ফেসবুক
পেজ বা অজানা ওয়েবসাইট থেকে না কেনাই ভালো।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, যদি আপনার সময় থাকে, শোরুমে গিয়ে দেখা ভালো।
আর যদি ব্যস্ত থাকেন বা বাইরে যাওয়া কষ্টকর হয়, তাহলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
থেকেও নির্ভরযোগ্যভাবে কেনা যায়। দুইটিই সঠিক উপায়, নির্ভর করে আপনি কীভাবে
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার উপর।
ওয়ালটন ১ টন এসি কেনার আগে যা জানা জরুরি (ইনস্টলেশন, ওয়ারেন্টি)
আমরা তো উপরে জেনেই এসেছি, ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে এবং
আমরা এই বিষয়টি জানার সাথে সাথে আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে
জেনেছি। এখন আমরা জানবো, ওয়ালটন ১ টন এসি কেনার আগে যা জানা জরুরি তা
সম্পর্কে।
ইনস্টলেশন প্রসঙ্গে যা জানা দরকার:
ওয়ালটন ১ টন এসি কেনার পর প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো ইনস্টলেশন।
সাধারণত শোরুম থেকে কেনা হলে তারা নিজেরাই ইনস্টলেশন করে দেয়। তবে কিছু
ক্ষেত্রে আলাদা ইনস্টলেশন চার্জ নিতে পারে। ইনস্টলেশনের জন্য দরকার দক্ষ
টেকনিশিয়ান, কারণ ভুলভাবে লাগালে এসির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। দেয়ালে
গর্ত করা, ইনডোর-আউটডোর ইউনিট ঠিকভাবে বসানো এবং গ্যাস লিকেজ চেক করাও খুব
গুরুত্বপূর্ণ। তাই পেশাদার লোক দিয়ে ইনস্টল করানোই ভালো।
ওয়ারেন্টি সম্পর্কে সচেতনতা:
ওয়ালটনের এসি সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত কম্প্রেসারের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে এবং
১ বছর সার্ভিস ওয়ারেন্টি থাকে। তবে এই ওয়ারেন্টি প্রয়োগের জন্য কিছু শর্ত
থাকে, যেমন নির্দিষ্ট সময়ে সার্ভিস করানো, অনুমোদিত টেকনিশিয়ান দ্বারা ইনস্টল
করা ইত্যাদি। কেনার সময় ওয়ারেন্টি কার্ড ভালোভাবে দেখে রাখা উচিত এবং কোন
কাগজপত্র লাগবে তাও জেনে রাখা দরকার।
অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে সচেতনতা:
অনেক সময় এসি কেনার পর ইনস্টলেশনের খরচ, স্ট্যাবিলাইজার, অতিরিক্ত পাইপিং
ইত্যাদি আলাদা করে টাকা দিতে হয়। ফলে অনেকে এসি কেনার বাজেট ঠিক করলেও পরে খরচ
বাড়ে। তাই আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো মোট খরচ কত হতে পারে।
সঠিক বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা:
এসি চালানোর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সংযোগ। যদি বাড়িতে
ভোল্টেজের উঠানামা বেশি হয়, তাহলে স্ট্যাবিলাইজার লাগাতে হতে পারে। এছাড়া
আলাদা সার্কিট ব্রেকার বা MCB লাগানো ভালো, যা এসি এবং বাসার অন্যান্য
ইলেকট্রিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ওয়ালটন ১ টন এসির ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা
ওয়ালটন ব্র্যান্ড বরাবরই তাদের গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের
পণ্য সরবরাহ করে এসেছে। বিশেষ করে ওয়ালটনের এসি বিভাগে তাদের বিক্রয়োত্তর
সেবা এবং ওয়ারেন্টি নীতিমালা গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। অনেকেই এসি কেনার
সময় শুধু দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ওয়ারেন্টি কী কী কভার করে?
ওয়ালটনের ১ টন এসির ক্ষেত্রে সাধারণত ৫ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি এবং ১
বছরের যন্ত্রাংশ ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। এই ওয়ারেন্টির আওতায় যেসব
সমস্যা আসে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: কম্প্রেসর নষ্ট হওয়া, কুলিং সমস্যার কারণে
সার্ভিস প্রয়োজন, ইলেকট্রিক্যাল ফাংশন ত্রুটি ইত্যাদি। তবে ওয়ারেন্টি তখনই
কার্যকর হবে যখন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট শর্তাবলীর মধ্যে থাকবেন এবং অপ্রত্যাশিত
দুর্ঘটনার জন্য কোনো ত্রুটি ঘটেনি।
বিক্রয়োত্তর সেবার মান কেমন?
ওয়ালটনের অন্যতম বড় শক্তি হলো তাদের সারাদেশব্যাপী সার্ভিস সেন্টার।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় শহরে তাদের অনুমোদিত সার্ভিস পয়েন্ট
রয়েছে। এসি কিনে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে নির্ধারিত হটলাইন বা
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দ্রুত অভিযোগ জানানো যায় এবং কয়েক দিনের মধ্যেই সার্ভিস
ইঞ্জিনিয়ার বাসায় এসে সমস্যার সমাধান করে দেন।
কীভাবে ওয়ারেন্টি ক্লেইম করবেন?
ওয়ারেন্টি ক্লেইম করতে হলে এসির সঙ্গে দেওয়া ওয়ারেন্টি কার্ডটি সংরক্ষণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার এসি কোনো সমস্যা তৈরি করে, তাহলে প্রথমে
ওয়ালটনের কাস্টমার কেয়ার হটলাইন (যেমন: ১৬২৬৭) এ যোগাযোগ করে সমস্যার বিবরণ
জানাতে হবে। তারা একটি অভিযোগ নম্বর প্রদান করবে এবং আপনার নির্ধারিত ঠিকানায়
সার্ভিস টিম পাঠাবে। ওয়ারেন্টির শর্তানুযায়ী, যদি ত্রুটিটি ওয়ারেন্টির
আওতাভুক্ত হয় তবে সেটি বিনামূল্যে সারানো হবে।
গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা:
অনেক ব্যবহারকারী জানান যে ওয়ালটনের সার্ভিস দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য। তাদের অনেক
ক্ষেত্রেই একদিনের মধ্যেই সেবা পৌঁছে গেছে। তবে কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেছেন যে
দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। সাধারণত মেট্রো শহরগুলোতে
দ্রুততম সেবা পাওয়া যায়। তাই এসি কেনার সময় স্থানীয় সার্ভিস সেন্টারের
অবস্থান সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া উচিত।
অন্যান্য ব্র্যান্ডের ১ টন এসির সাথে ওয়ালটন এসির তুলনামূলক আলোচনা
বাংলাদেশে এসির বাজারে ওয়ালটনের পাশাপাশি আরও কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড
যেমন Gree, LG, Samsung, Haier, Mitsubishi, এবং Sharp ভালো অবস্থান তৈরি করে
নিয়েছে। তবে দাম, ফিচার, সেবা ও মানের বিচারে ওয়ালটনের সঙ্গে তুলনা করলে অনেক
দিকেই তারা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে।
দামের দিক থেকে তুলনা:
ওয়ালটনের ১ টন এসির দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। যেখানে LG বা Samsung এর এসি
কিনতে গড়ে ৫০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা লেগে যায়, সেখানে ওয়ালটনের মডেল ৪০,০০০
থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। যারা সীমিত বাজেটের মধ্যে একটি ভালো
মানের এসি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে পার্থক্য:
ওয়ালটনের এসিগুলোতে বর্তমানে ইনভার্টার প্রযুক্তি, ইকো মোড, অটো ক্লিন ফিচার,
এবং ন্যানো প্রযুক্তিতে এয়ার ফিল্টার ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক
ব্র্যান্ডগুলোতেও এসব ফিচার পাওয়া গেলেও, অনেক সময় সেটি দাম অনুযায়ী
সীমাবদ্ধ থাকে। ওয়ালটনের যন্ত্রাংশ অনেকটাই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায়
খরচ কম হয় এবং সেবা দ্রুত পাওয়া যায়।
সার্ভিস ও খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া:
একটি এসি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য দরকার ভালো বিক্রয়োত্তর সেবা ও খুচরা
যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা। বিদেশি ব্র্যান্ডের এসির ক্ষেত্রে অনেক সময় যন্ত্রাংশ
আনাতে দেরি হয় এবং খরচ বেশি পড়ে। ওয়ালটনের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব কারখানা
থাকায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ তুলনামূলক দ্রুত হয়। সার্ভিস সেন্টারও
অনেক বেশি এবং সহজলভ্য।
পরিবেশ বান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার দিক:
ওয়ালটনের এসিগুলোতে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে R32 রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, যা
পরিবেশ বান্ধব। এছাড়াও ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এটি বিদ্যুৎ খরচ
অনেক কমায়। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোতেও এই প্রযুক্তি থাকলেও, দাম অনেক বেশি
পড়ে যায়। তাই পরিবেশবান্ধব এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি চাইলে ওয়ালটন এক
আকর্ষণীয় অপশন।
ওয়ালটন ১ টন এসি ব্যবহারকারীদের রিভিউ এবং অভিজ্ঞতা
চলুন এখন জেনে আসা যাক, ওয়ালটন ১ টন এসি ব্যবহারকারীদের রিভিউ এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এবং এই পয়েন্টটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
প্রথম দিকে অনেকেই ভাবেন, কম দামে এসি কিনলে হয়তো মানে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। কিন্তু ওয়ালটনের ১ টন এসি ব্যবহার করার পর অনেকেই বলেছেন, তারা এত ভালো পারফরম্যান্স আশা করেননি। একজন চাকরিজীবী জানিয়েছেন, তার রুমটি মাঝারি সাইজের এবং প্রচণ্ড গরমে ভুগছিলেন। ওয়ালটনের এই এসি বসানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, যা তার কাছে বেশ অবিশ্বাস্য লেগেছিল। শুধু ঠাণ্ডা করাই না, বরং এর বাতাসের গতি, নিরবতা এবং ঘরের বাতাসে এক ধরণের সতেজতা এনে দেয়। যাঁরা ঘরে ছোট বাচ্চা কিংবা বয়স্ক মানুষদের নিয়ে থাকেন, তাঁদের জন্য এসির শব্দহীন কাজ করাটা বড় সুবিধা। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময়, এটি একেবারে নিঃশব্দে কাজ করে, ফলে ঘুমে কোনো ব্যাঘাত ঘটে না।
অনেক ব্যবহারকারীই জানিয়েছেন যে, এই এসির সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর ইনভার্টার প্রযুক্তি। আগে এসি চালানো মানেই অনেক বিল আসার ভয় ছিল। কিন্তু ওয়ালটনের এই মডেলটি চালানোর পর দেখা যায়, মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল তেমন একটা বাড়ে না। একজন গ্রাহক বলেছেন, তিনি রোজ প্রায় ৮ ঘণ্টা এসি চালান, তবুও আগের তুলনায় বিদ্যুৎ বিল খুব সামান্য বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, এসিটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সত্যিই কার্যকর। আর ইনভার্টার প্রযুক্তির কারণে এসিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা বুঝে কাজ করে, ফলে অতিরিক্ত লোড পরে না। যাঁরা নিয়মিত এসি চালাতে চান কিন্তু বিল নিয়ে চিন্তিত, তাঁদের জন্য এই এসিটি একটি সেরা সমাধান হতে পারে।
এই এসিটির আরেকটি ইতিবাচক দিক হলো এর ডিজাইন এবং স্থায়িত্ব। অনেকেই বলেন, তারা একটি ছোট ঘরের জন্য এসি খুঁজছিলেন যা দেখতে আধুনিক এবং ইনস্টল করলেও ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট না হয়। ওয়ালটনের এই এসি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি এটি ঘরের দেয়ালে বসানোর পর এক ধরণের প্রিমিয়াম ফিনিশ দেয়। এর বাহ্যিক কাঠামো মজবুত এবং কালার টোনও ঘরের সাথে সহজেই মিশে যায়। এমনকি কন্ট্রোল বাটনগুলোর ডিজাইন ও এলইডি ডিসপ্লেটি রাতেও স্পষ্ট দেখা যায়। যারা অল্প বাজেটে আধুনিক ফিচার চায়, তাদের জন্য ডিজাইন দিক থেকেও এটি ভালো একটি বিকল্প।
সবশেষে ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট ওয়ালটনের বিক্রয়োত্তর সেবার উপর। যেহেতু এটি একটি দেশীয় কোম্পানি, তাই সার্ভিস পাওয়া অনেক সহজ। অনেকেই জানিয়েছেন, এসি কেনার পর ইনস্টলেশন খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সার্ভিস টিম দ্রুত সমাধান দিয়েছে। একজন ক্রেতা বলেছিলেন, তার এসির রিমোটে সমস্যা দেখা দিলে, ফোন করার একদিনের মধ্যেই টেকনিশিয়ান এসে ঠিক করে দিয়ে যান। দেশীয় ব্র্যান্ড হওয়ার কারণে সার্ভিস সেন্টার ও কর্মীদের সহজলভ্যতা অনেক বেশি। এর ফলে ওয়ালটনের উপর গ্রাহকদের আস্থা তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা ভবিষ্যতেও এই ব্র্যান্ড থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী।
ওয়ালটন ১ টন এসির দাম কিসের উপর নির্ভর করে?
ওয়ালটন এসির দাম নির্ধারণে একাধিক বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুধু
'ওয়ালটন এসি ১ টন প্রাইস ইন বাংলাদেশ' বলে সার্চ করলেই নির্দিষ্ট একটি দাম
পাওয়া সম্ভব নয়। কেননা এটি নির্ভর করে এসির মডেল, ফিচার, প্রযুক্তি,
ইনভার্টার আছে কিনা, এবং আপনি কোথা থেকে কিনছেন তার উপর। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
ওয়ালটন ১ টন এসির দাম কিসের উপর নির্ভর করে?
-
ওয়ালটনের ১ টন এসিতে বিভিন্ন ধরনের মডেল পাওয়া যায়। কিছু মডেলে
কেবলমাত্র বেসিক কুলিং ফিচার থাকে, আবার কিছু মডেলে ইনভার্টার, টার্বো
কুলিং, স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোল, এবং ফিল্টার পিউরিফিকেশন সিস্টেম যুক্ত
থাকে। স্বাভাবিকভাবে, বেশি ফিচারযুক্ত এসিগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে
থাকে।
-
ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিগুলো সাধারণ এসির তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী। এ কারণে ইনভার্টার এসির দাম প্রায় ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বেশি
হতে পারে। যারা দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে চান, তাদের জন্য
ইনভার্টার এসি বেশি কার্যকর হলেও প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়।
-
অনলাইনে বিভিন্ন সময় ডিসকাউন্ট, অফার এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হয়।
এর ফলে এসির দাম কমে যায়। অন্যদিকে, শোরুম থেকে কেনার সময় সামনাসামনি
দেখে কেনার সুবিধা থাকলেও অনেক সময় দাম কিছুটা বেশি হয়। তবে অনেক শোরুমেও
নির্দিষ্ট সময়ে অফার চলে থাকে।
-
গরম মৌসুমে এসির চাহিদা বেশি থাকে, তাই তখন দামও কিছুটা বাড়ে। শীতকালে
অনেক সময় ছাড় পাওয়া যায়। এছাড়াও ঈদ, পুজো বা বর্ষবরণ উপলক্ষে ওয়ালটন
নানা ধরনের ক্যাম্পেইন চালায়, তখন দাম তুলনামূলক কম থাকে। তাই সময় বুঝে
কেনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ালটন ১ টন এসির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি
একটি এসি কেনার পর শুধুমাত্র ব্যবহার করলেই হয় না, সেটি ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ
করাও জরুরি। ওয়ালটন ১ টন এসি দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারে যদি এটি সঠিক
নিয়মে পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করা:
এসির ভিতরের ফিল্টারটি ধুলো-বালি জমে বন্ধ হয়ে গেলে কুলিং ক্ষমতা কমে যায়।
তাই প্রতি ১৫-২০ দিনে একবার ফিল্টার খুলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে
আবার সেট করতে হবে। এতে এসির কার্যকারিতা বজায় থাকে এবং বিদ্যুৎ খরচও
কমে।
আউটডোর ইউনিটের যত্ন:
অনেকেই শুধুমাত্র ইন্ডোর ইউনিট পরিষ্কার করেন, কিন্তু আউটডোর ইউনিটও সময়মতো
পরিষ্কার রাখা দরকার। এটি বাইরের ধুলোবালিতে ঢাকা পড়ে গেলে কনডেন্সার হিট
এক্সচেঞ্জ করতে পারে না। ফলে এসির কুলিং কমে যায় এবং যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার
আশঙ্কা থাকে।
গ্যাস রিফিল ও টেকনিক্যাল চেকআপ:
প্রতি বছর অন্তত একবার একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে এসিটির গ্যাস লেভেল,
পাইপিং ও ইনডোর-আউটডোর ইউনিট ভালোভাবে পরীক্ষা করানো উচিত। যদি কোথাও লিক থাকে
বা গ্যাস কমে যায়, তাহলে তা ঠিক করানো দরকার।
অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া:
অনেকেই এসিকে ২৪ ঘণ্টা একটানা চালান, যা কোনো এসির পক্ষেই ভালো নয়। এসি
ব্যবহার করার সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখা উচিত এবং বাইরে থেকে গরম বাতাস
যাতে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে এসি কম সময়ে ঠান্ডা করবে এবং
অতিরিক্ত চাপ পড়বে না।
ওয়ালটন ১ টন এসি কাদের জন্য উপযুক্ত?
ওয়ালটন ১ টন এসি সবার জন্য নয়, এটি নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ঘরের আকার,
ব্যবহারের ধরন ও অন্যান্য বিষয়ের উপর। তবে কিছু শ্রেণির মানুষের জন্য এটি একদম
সঠিক পছন্দ হতে পারে, যেমন:
-
যারা ছোট ফ্ল্যাটে থাকেন বা একটি নির্দিষ্ট ঘরের জন্য এসি খুঁজছেন, তাদের
জন্য ওয়ালটনের ১ টন এসি যথেষ্ট। এটি ১০০-১২০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ঘর
ভালোভাবে ঠান্ডা করতে পারে।
-
বিশেষ করে একক বাসিন্দা বা ছাত্রছাত্রী যারা ছোট রুমে থাকেন, তাদের জন্য ১
টন এসি যথেষ্ট কার্যকর। বিদ্যুৎ খরচও কম হয়, আবার ইনভার্টার মডেল হলে আরও
সাশ্রয় হয়।
-
যদি বাসার একটি রুম শুধুমাত্র শিশুদের ঘর হয়, তাহলে সেই ঘরে ১ টন এসি
লাগালে আরামদায়ক পরিবেশ পাওয়া যায়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে শিশুদের
ঘুম ভালো হয় এবং অসুস্থতাও কমে।
-
সবাই বড় এসি কিনতে পারেন না। যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণির, বা যাদের বাজেট
সীমিত, তাদের জন্য ১ টন এসি সাশ্রয়ী এবং কার্যকর। ওয়ালটনের ১ টন এসি কম
দামে ভালো ফিচার দিয়ে থাকে।
ওয়ালটন এসি কেন এত জনপ্রিয়?
বর্তমানে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস মার্কেটে ওয়ালটন একটি সুপরিচিত নাম। বিশেষ
করে এসি সেগমেন্টে ওয়ালটনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পিছনে রয়েছে
কিছু বাস্তব কারণ। চলুন তবে কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
-
দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা: ওয়ালটন সম্পূর্ণভাবে একটি দেশীয়
ব্র্যান্ড। দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষ আগ্রহী হওয়ায় ওয়ালটনের প্রতি
মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি এর
খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় সহজে।
-
তুলনামূলক কম দাম: ওয়ালটনের এসি গুলোর দাম অন্যান্য ব্র্যান্ডের
তুলনায় কিছুটা কম। একই ফিচার বা কুলিং ক্ষমতার এসি বিদেশি ব্র্যান্ডে অনেক
বেশি দামে কিনতে হয়। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এটি সহজলভ্য।
-
সার্ভিস ও ওয়ারেন্টি সুবিধা: ওয়ালটন এসির বিক্রয়োত্তর সেবা অনেক
ভালো। ওয়ারেন্টি ও ইনস্টলেশন সুবিধা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিস
সেন্টার থাকায় দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়।
-
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন: ওয়ালটন এখন আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি
ব্যবহার করছে। বিশেষ করে ইনভার্টার প্রযুক্তি, স্মার্ট কন্ট্রোল, হেভি
ডিউটি কুলিং ইত্যাদি ফিচার যুক্ত হয়েছে তাদের অনেক মডেলে। ফলে ক্রেতারা
আধুনিক প্রযুক্তির পণ্য পাচ্ছেন সাশ্রয়ী দামে।
ওয়ালটন ১ টন এসি কিস্তিতে কিনলে কেমন সুবিধা পাবেন?
ওয়ালটন ১ টন এসি কিস্তিতে কেনার সুবিধা বর্তমানে অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে। অনেকেই একসাথে পুরো টাকা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিস্তিতে কেনার অপশন
বেছে নেন। ওয়ালটনের বিভিন্ন শোরুম এবং অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সহজ
কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তবে
৩ মাস, ৬ মাস এমনকি ১২ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে এসি কেনার সুবিধা পাওয়া
যায়।
সহজ ডাউন পেমেন্ট:
ওয়ালটন শোরুমে গেলে আপনি দেখবেন, মাত্র ১০% থেকে ২০% ডাউন পেমেন্ট দিলেই আপনি
কিস্তিতে এসি নিতে পারবেন। ডাউন পেমেন্টের পর বাকি টাকা আপনি মাসে মাসে পরিশোধ
করতে পারবেন। এটা অনেকের জন্যই সুবিধাজনক, কারণ অনেকেই এককালীন ৫০,০০০-৬০,০০০
টাকা দিতে পারেন না।
ইএমআই সুবিধা:
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য ইএমআই একটি বড় সুবিধা। যেসব ব্যাংকের সাথে
ওয়ালটনের চুক্তি আছে, সেগুলোর মাধ্যমে আপনি ইএমআই সুবিধা পেতে পারেন। এতে কোনও
অতিরিক্ত সুদ ছাড়াই আপনি মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এমনকি কখনও কখনও
অফার হিসেবে ইন্টারেস্ট-ফ্রি ইএমআই-ও পাওয়া যায়।
অফার ও ডিসকাউন্ট:
অনেক সময় কিস্তিতে এসি কিনলে বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। যেমন, কোনো কোনো উৎসব
উপলক্ষে বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করলে ৫% থেকে ১০% পর্যন্ত ছাড়
দিতে পারে। এছাড়াও কিছু শোরুম “বাই ওয়ান, গেট ওয়ান” অফারও দেয়, যেখানে আপনি
এসির সাথে ফ্রি ইনস্টলেশন বা ফ্রি সার্ভিসিং পেতে পারেন।
কিস্তিতে কেনার ঝুঁকি ও সতর্কতা:
যদিও কিস্তিতে কেনা সহজ ও সুবিধাজনক, তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। মাসিক
কিস্তি সময়মতো পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হতে পারে। আবার কিছু ডিলারে
লুকানো চার্জ থাকে, যেটা আগে জানালে ভালো। তাই চুক্তির সব নিয়ম ভালোভাবে পড়ে
নেওয়া উচিত।
শেষ কথন
ওয়ালটন ১ টন এসি বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে একটি নির্ভরযোগ্য পণ্য হিসেবে
স্থান করে নিয়েছে। এর দাম, মান, বিক্রয়োত্তর সেবা ও ইনস্টলেশন সুবিধা সবকিছুই
একত্রে চিন্তা করলে এটি একটি চমৎকার চয়েস। বিশেষ করে গরমের সময়ে এসি একটি
অপরিহার্য জিনিস, আর সেক্ষেত্রে ওয়ালটন তাদের দেশীয় প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী ফিচার এবং সহজ কিস্তি সুবিধার মাধ্যমে মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য
হয়ে উঠেছে।
এই আর্টিকেলে আমরা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি-এসির দাম, প্রধান বৈশিষ্ট্য,
এসি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, এসির কুলিং ক্ষমতা কেমন, কোথায় পাওয়া যায়, অনলাইন
বনাম অফলাইন কেনা, ইনস্টলেশন ও ওয়ারেন্টি, অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনা,
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, দাম নির্ধারণের কারণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কারা ব্যবহার
করবেন-সবকিছু মিলিয়ে আশা করা যায় আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজন
অনুযায়ী ওয়ালটন ১ টন এসি কেনা সঠিক হবে কিনা।
BLOGGER BD-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url