সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত - সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার
সিঙ্গার ফ্রিজ বাংলাদেশ প্রাইস ২০২৫
আপনি কি সিঙ্গার ফ্রিজ ক্রয় করতে চাচ্ছেন? একটা ভালো ফ্রিজ মানেই পরিবারের প্রতিদিনের জীবন আরো সহজ আর আরামদায়ক। তাই আজকে আমরা সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত? তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটারের বর্তমান দাম, বৈশিষ্ট্য, কেনার আগে কী বিষয় মাথায় রাখা দরকার, এবং কোথা থেকে কিনলে আপনার সুবিধা হবে-সবকিছু সহজ ভাবে তুলে ধরবো। চলুন শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র: সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত?
- সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত?
- সিঙ্গার ব্র্যান্ডের পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নিন
- কেন আপনি সিঙ্গারের 230 লিটার ফ্রিজ বেছে নিবেন?
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের মূল বৈশিষ্ট্য কি?
- অনলাইন ও অফলাইনে সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের দামের পার্থক্য কেমন?
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের কিস্তিতে কেনার সুযোগ ও নিয়মাবলী
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের সাথে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনামূলক দাম ও ফিচার
- পুরাতন সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের বাজার মূল্য এবং কেনার টিপস
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের দাম কমার বা বিশেষ অফার পাওয়ার উপায়?
- কোন কোন দোকানে সিঙ্গার ফ্রিজ সস্তায় পাওয়া যায়?
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজ কেনার পর এর ওয়ারেন্টি ও সার্ভিসিং খরচ কেমন?
- ফ্রিজ কেনার আগে কি কি যাচাই করা উচিত?
- ফ্রিজ কেনার পর সঠিকভাবে ব্যবহার কিভাবে করবেন?
- ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের সহজ টিপস
- শেষ মন্তব্য
সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত?
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই নামী-দামি ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন, তারমধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হচ্ছে "সিঙ্গার"। যাদের ফ্রিজ মানেই টেকসই, আধুনিক ডিজাইন এবং কম বিদ্যুৎ খরচ। তবে অনেকে প্রশ্ন করেন, সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত? আসলে এর দাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হতে পারে। কারণ এর উপর নির্ভর করে মার্কেট চাহিদা, নতুন মডেল আসা কিংবা অফার চলছে কি না। আমরা সিঙ্গার বিডি ওয়েবসাইটে ঘাটাঘাটি করে বেশ কয়েকটি মডেল পেয়েছি যার তথ্য নিচে দেওয়া হয়েছে:
- Model: SRREF-SS500-FTDS230Z-BG
- Price: ৳39,290
- Details:
- 231 Ltr Capacity
- 45:55 Space Compartment Ratio
- 5 Star Energy Rating by BSTI
- Low power consumption
- Real Tempered Glass Finish;
- Nutilock & Freshology will keep your food fresh up to 20 Days;
- Built-in Stabilizer with 135V Running
- Odour Filter | Bottle Holder
- Top Mounted Refrigerator
- 10 Year Compressor & 2 Year Spare Parts Warranty
- Model: SRREF-SS300-FTDS230-RG
- Price: ৳35,053
- Details:
- 231 Ltr Capacity
- 45:55 Space Compartment Ratio
- 5 Star Energy Rating by BSTI
- Low power consumption
- Real Tempered Glass Finish;
- Tempered Glass Shelves;
- Built-in Stabilizer
- Odour Filter | Bottle Holder
- Top Mounted Refrigerator
- 10 Year Compressor & 2 Year Spare Parts Warranty
- Model: SRREF-SS500-FTDS230Z-RG
- Price: ৳39,290
- Details:
- 231 Ltr Capacity
- 45:55 Space Compartment Ratio
- 5 Star Energy Rating by BSTI
- Low power consumption
- Real Tempered Glass Finish
- Nutilock & Freshology will keep your food fresh up to 20 Days
- Built-in Stabilizer with 135V Running
- Odour Filter | Bottle Holder
- Top Mounted Refrigerator
- 10 Year Compressor & 2 Year Spare Parts Warranty
- সিঙ্গারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.singerbd.com/ এ প্রবেশ করুন।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর” ট্যাবে দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
- এরপর আপনি যে ফ্রিজটি কিনতে চাচ্ছেন তার তথ্যসমূহ প্রদান করুন যেমন: দাম, ক্যাটাগরি, লিটার ও ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে জেনে নিন।
- আপনি চাইলে সিঙ্গারের অফিসিয়াল শোরুমে গিয়েও দাম জানতে পারেন।
সিঙ্গার ব্র্যান্ডের পরিচিতি সম্পর্কে জেনে নিন
সিঙ্গারের ইতিহাস:
গুণগত মান এবং উদ্ভাবন:
গ্রাহকসেবা ও ওয়ারেন্টি:
সাশ্রয়ী মূল্য এবং সহজ কিস্তিতে কেনার সুবিধা:
ব্র্যান্ড বিশ্বাসযোগ্যতা ও ভবিষ্যতের দৃষ্টি:
কেন আপনি সিঙ্গারের 230 লিটার ফ্রিজ বেছে নিবেন?
সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের মূল বৈশিষ্ট্য কি?
- উন্নত কুলিং প্রযুক্তি: সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত ডাইরেক্ট কুলিং এবং ফ্রস্ট টেকনোলজি। এতে ফ্রিজের ভেতরে ঠান্ডা সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং খাবার দীর্ঘক্ষণ তাজা থাকে। গরম আবহাওয়াতেও এই ফ্রিজ দ্রুত ঠান্ডা করতে সক্ষম। অনেক ফ্রিজে দেখা যায় কিছু জায়গা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবার কিছু জায়গা উষ্ণ থাকে, কিন্তু সিঙ্গারের এই মডেলে সেই সমস্যা নেই। এতে মাল্টি-এয়ার ফ্লো প্রযুক্তিও যুক্ত আছে যা খাবার দ্রুত এবং সমানভাবে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার কম্প্রেসর: এই ফ্রিজে রয়েছে ইনভার্টার কম্প্রেসর প্রযুক্তি যা বিদ্যুৎ খরচ অনেক কমিয়ে দেয়। সাধারণ কম্প্রেসরের তুলনায় এটি ৩০-৪০% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। এছাড়া এটি শব্দ কম করে, ফলে আপনি শান্ত পরিবেশে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ইনভার্টার কম্প্রেসর আপনার ফ্রিজের দীর্ঘস্থায়ীত্বও নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তি বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজনীয় কারণ বিদ্যুৎ খরচ আমাদের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- পরিবেশবান্ধব গ্যাস ও স্মার্ট ডিজাইন: সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে R600a রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস যা পরিবেশের জন্য নিরাপদ এবং ওজোন স্তরে কোনো ক্ষতি করে না। পাশাপাশি এর ডিজাইন অত্যন্ত আধুনিক ও ব্যবহারবান্ধব। ভিতরের তাকগুলো টেম্পারড গ্লাসের তৈরি যা ভেঙে যাওয়ার ভয় নেই এবং একাধিক স্তরে খাবার সংরক্ষণের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে। এছাড়াও ফ্রিজের দরজায় রয়েছে আলাদা বোতল স্টোরেজ স্পেস, ডিম রাখার জায়গা ও ইউটিলিটি বক্স। ফ্রিজের বাহ্যিক রঙ, ফিনিশিং ও আকৃতি এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে এটি যে কোনো আধুনিক কিচেন বা ঘরের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
- সুরক্ষা এবং স্মার্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স: এই ফ্রিজে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট, যা ফ্রিজের দরজার সাথে সংযুক্ত থাকে এবং বাইরে থেকে জীবাণু ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। এতে খাবার অনেক বেশি সময় পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। এছাড়া এর LED আলো দীর্ঘস্থায়ী এবং স্বল্প বিদ্যুৎ খরচে বেশি আলো দেয়। ফ্রিজের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয় এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ভুল করে খোলা রেখে দিলেও সেটা নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এসব স্মার্ট ফিচার আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেক বড় সহায়তা হিসেবে কাজ করে।
অনলাইন ও অফলাইনে সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের দামের পার্থক্য কেমন?
অনলাইন কেনার সুবিধা ও দাম:
অফলাইন শোরুমের দাম ও বাস্তব অভিজ্ঞতা:
ডেলিভারি, ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন নীতির পার্থক্য:
কোন মাধ্যম থেকে কেনা উত্তম?
সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের কিস্তিতে কেনার সুযোগ ও নিয়মাবলী
আমরা তো উপরে জেনে এসেছি সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার দাম কত তা সম্পর্কে। এবার চলুন জানা যাক, সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের কিস্তিতে কেনার সুযোগ ও নিয়মাবলী সম্পর্কে।
সিঙ্গার ফ্রিজ 230 লিটার মডেলটি অনেকেই এককালীন পুরো অর্থ পরিশোধে কিনতে না পারায় কিস্তিতে কেনার বিকল্প বেছে নেন। এই পদ্ধতিতে মাসিক কিছু টাকা পরিশোধের মাধ্যমে ফ্রিজটি সহজে সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স শোরুম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার ব্যবস্থা রেখেছে, বিশেষ করে সিঙ্গার ব্র্যান্ডটির ক্ষেত্রে। চলুন বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
শোরুম ভিত্তিক কিস্তির সুবিধা:
অনলাইন ই-কমার্স ভিত্তিক কিস্তি পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও শর্তাবলী:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID বা স্মার্টকার্ড)
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- কর্মস্থলের পরিচয়পত্র বা ইনকাম প্রমাণ
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ক্রেডিট কার্ড EMI এর ক্ষেত্রে)
- মোবাইল নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা
- শর্তাবলী অনুযায়ী সময়মত কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে, নয়তো পেনাল্টি বা জরিমানা গুনতে হতে পারে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে পোস্ট-ডেটেড চেক ও জামিনদারের কাগজপত্রও চাওয়া হয়।
কোন পদ্ধতি আপনার জন্য উপযুক্ত?
সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের সাথে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনামূলক দাম ও ফিচার
- সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজ সাধারণত ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ওয়ালটনের একই ক্ষমতার ফ্রিজ ৩৩,০০০-৩৮,০০০ টাকা, মিনিস্টার ফ্রিজ ৩২,০০০-৩৬,০০০ টাকা এবং এলজি বা স্যামসাং-এর ফ্রিজ তুলনামূলকভাবে কিছুটা ব্যয়বহুল হয় (৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা)। অর্থাৎ বাজেট সচেতন ক্রেতাদের জন্য সিঙ্গার একটি মধ্যম পর্যায়ের ভালো বিকল্প।
- সিঙ্গার ফ্রিজে রয়েছে ইনভার্টার কম্প্রেসর, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট, R600a গ্যাস, মাল্টি-এয়ার ফ্লো ইত্যাদি। অন্যদিকে এলজি বা স্যামসাং-এর মতো উচ্চমানের ব্র্যান্ডে থাকে স্মার্ট ইনভার্টার, ডিজিটাল টাচ কন্ট্রোল, স্মার্ট থিংস অ্যাপ কানেকশন ইত্যাদি। তবে এই ফিচারগুলো অনেক সময় দৈনন্দিন ব্যবহারে অতটা প্রয়োজনীয় নয়। সাধারণ পরিবারের জন্য সিঙ্গারের প্রযুক্তিও যথেষ্ট কার্যকর।
- সিঙ্গার ফ্রিজের ডিজাইন তুলনামূলক সরল এবং ব্যবহারবান্ধব। এর গ্লাস শেলফ, বড় বটল গার্ড এবং লাইটওয়েট দরজা পরিবারের সবাই ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে হায়ার বা মিনিস্টার ফ্রিজেও প্রায় একই রকম ডিজাইন থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিসপ্লে বা স্মার্ট লক ফিচার যুক্ত থাকে।
- সিঙ্গার ফ্রিজে সাধারণত ১০ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি ও ১ বছরের স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। ওয়ালটন ও মিনিস্টারেও প্রায় একই ধরনের সেবা দেওয়া হয়। তবে এলজি ও স্যামসাং ফ্রিজে কিছুটা দীর্ঘমেয়াদী ওয়ারেন্টি সুবিধা পাওয়া যায়। বিক্রয়োত্তর সেবায় সিঙ্গার বেশ ভাল মানের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
পুরাতন সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের বাজার মূল্য এবং কেনার টিপস
- পুরাতন ফ্রিজের সম্ভাব্য দাম: সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজ ব্যবহৃত অবস্থায় সাধারণত ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। দাম নির্ভর করে ফ্রিজের বয়স, ব্যবহার, অবস্থা, মডেল ও বিক্রেতার অবস্থানের উপর। এক বছরের ব্যবহৃত ফ্রিজ হয়তো ২৫,০০০ টাকায় পাওয়া গেলেও ৫ বছরের পুরোনো ফ্রিজ মাত্র ১৫,০০০ টাকায় পাওয়া যেতে পারে।
- ফ্রিজ কেনার সময় কী পরীক্ষা করবেন: ফ্রিজ চালু করে দেখুন দ্রুত ঠান্ডা করছে কিনা, কোনো অস্বাভাবিক শব্দ হচ্ছে কিনা, দরজার গ্যাসকেট ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, আলো জ্বলে কিনা, শেলফ ও দরজার অংশগুলো অক্ষত আছে কিনা, আগের রক্ষণাবেক্ষণের ইতিহাস জানা থাকলে ভালো। এ-সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে ফ্রিজ ক্রয় করুন।
- কোথা থেকে কিনবেন: ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে অনেক বিক্রেতা পুরাতন ফ্রিজ বিক্রি করেন। তবে প্রতারণার আশঙ্কা থাকে। পরিচিত দোকান বা বিক্রেতার মাধ্যমে কেনা নিরাপদ। বিক্রয়ের সময় রসিদ নেয়া এবং কিছু দিনের সেবা নিশ্চয়তা থাকলে আরও ভালো। অনেক সময় সিঙ্গারের নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার থেকেও রিপেয়ার করা পুরাতন ফ্রিজ বিক্রি হয়।
- কেনার পূর্বে কিছু টিপস জেনে নিন: পুরাতন ফ্রিজ কিনলে খরচ কম হয়, তবে তার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই অন্তত ১-২ বছর ব্যবহৃত ফ্রিজ কিনতে চেষ্টা করুন এবং সবকিছু ভালোভাবে যাচাই করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। দাম খুব কম মনে হলে ফ্রিজের গুণমান নিয়ে দ্বিধা করুন। প্রয়োজনে একজন টেকনিশিয়ান সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজের দাম কমার বা বিশেষ অফার পাওয়ার উপায়?
- ঈদ, পূজা, নতুন বছর বা বর্ষবরণ উপলক্ষে অনেক সময় কোম্পানি বা শোরুমগুলো বিশেষ ছাড় ঘোষণা করে। এই সময়ে ফ্রিজের দাম সাধারণ মূল্যের চেয়ে ২,০০০-৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।
- অনেক অনলাইন শপে নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করলে ৫-১০% ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রোমো কোড বা কুপন ব্যবহার করলে বাড়তি ছাড়ও পাওয়া যায়।
- সিঙ্গার অনেক সময় এক্সচেঞ্জ অফার চালু করে, যেখানে পুরাতন ফ্রিজ দিয়ে নতুন ফ্রিজ কিনলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। এতে করে পুরাতন পণ্য বিক্রি নিয়েও চিন্তা করতে হয় না।
- কিছু কোম্পানি ০% ইন্টারেস্টে কিস্তিতে ফ্রিজ বিক্রি করে, যেখানে আপনি মাসে কিছু টাকা পরিশোধ করে ফ্রিজ নিতে পারেন। এতে করে একসাথে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হয় না, ফলে মানসিকভাবে স্বস্তি পাওয়া যায়।
কোন কোন দোকানে সিঙ্গার ফ্রিজ সস্তায় পাওয়া যায়?
- দেশের বিভিন্ন স্থানে সিঙ্গারের নিজস্ব শোরুম রয়েছে। এই দোকানগুলোতে অফিশিয়াল প্রাইস, ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত থাকে। মাঝে মাঝে অফার থাকলে এখান থেকেই সবচেয়ে ভালো দামে ফ্রিজ কেনা যায়।
- Daraz, Pickaboo, Rokomari ইত্যাদি সাইটে সিঙ্গার ফ্রিজের প্রচুর মডেল পাওয়া যায়। এখানে ক্যাশব্যাক, EMI সুবিধা, ডিসকাউন্ট কুপনের মাধ্যমে কম দামে ফ্রিজ কেনা সম্ভব। অনলাইনে ফ্ল্যাশ সেল বা ক্যাম্পেইনের সময় আরও বড় ডিসকাউন্ট মেলে।
- স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স শোরুম বা দোকানগুলোতে আপনি দরাদরি করে ভালো দামে পণ্য নিতে পারেন। অনেক দোকানে অফিশিয়াল পণ্য হলেও অফার দিয়ে কম দামে বিক্রি করে থাকে। তবে সতর্ক থেকে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
- যদি আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড বা ডিসপ্লে পিস কিনতে চান তাহলে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, ওএলএক্স বা বিক্রয় ডটকমের মত সাইটে অনেক বিক্রেতা কম দামে সিঙ্গার ফ্রিজ বিক্রি করেন। তবে প্রতারণার আশঙ্কা থাকায় সাবধান হওয়া জরুরি।
সিঙ্গার 230 লিটার ফ্রিজ কেনার পর এর ওয়ারেন্টি ও সার্ভিসিং খরচ কেমন?
সিঙ্গার ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা একটি মাঝারি বাজেটের মধ্যে ভালো মানের ফ্রিজ খুঁজছেন, তাদের জন্য সিঙ্গার 230 লিটারের ফ্রিজ বেশ উপযোগী। ফ্রিজ কেনার পর অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান, যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সার্ভিস কেমন পাওয়া যাবে বা ওয়ারেন্টি কত দিনের জন্য থাকবে। সাধারনত সিঙ্গার ফ্রিজে ১০ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের সাধারণ সার্ভিস ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে যদি ফ্রিজে কোন ম্যানুফ্যাকচারিং ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে কোম্পানি তা মেরামত করে দেয় বিনামূল্যে। তবে ভুল ব্যবহারের কারণে হলে সেটি ওয়ারেন্টির আওতায় পড়ে না।
ওয়ারেন্টির পাশাপাশি সার্ভিসিং খরচও অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিঙ্গার ব্র্যান্ড সারাদেশে বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টার পরিচালনা করে, যেখানে দক্ষ টেকনিশিয়ানরা কাজ করে থাকেন। ফ্রিজে যদি ছোটখাটো সমস্যা হয় যেমন ঠান্ডা কমে যাওয়া, শব্দ করা, লাইট কাজ না করা ইত্যাদি-তাহলে ২০০-৫০০ টাকার মধ্যেই সার্ভিস চার্জ পড়ে। তবে বড় কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের দরকার হলে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। যেমন কম্প্রেসর বদলাতে হলে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে, যদি ওয়ারেন্টির বাইরে পড়ে যায়।
ফ্রিজ কেনার আগে কি কি যাচাই করা উচিত?
ফ্রিজ কেনার পর সঠিকভাবে ব্যবহার কিভাবে করবেন?
- ফ্রিজ কেনার পর সেটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু ভালো ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনলেই হবে না, যদি সেটি সঠিকভাবে না ব্যবহার করা হয়, তাহলে অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে সিঙ্গার ২৩০ লিটারের ফ্রিজটি আপনি যেন দীর্ঘদিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব দরকার।
- ফ্রিজ বসানোর জায়গা ঠিক করতে হবে সঠিকভাবে। অনেকেই রান্নাঘরের কোনায় বা গরম জায়গায় ফ্রিজ বসিয়ে দেন, যা মোটেই ঠিক না। ফ্রিজের চারপাশে অন্তত ৪-৬ ইঞ্চি খালি জায়গা থাকতে হবে, যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। ফ্রিজ সরাসরি রোদে রাখাও ঠিক না। এতে ভিতরের অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব ঠান্ডা ও বাতাস চলাচলযোগ্য স্থানে ফ্রিজ রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- নতুন ফ্রিজ কেনার পর অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা চালু না করে রাখতে হবে। এতে ফ্রিজের ভেতরের গ্যাস ও মেকানিক্যাল পার্টস স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। অনেকেই দোকান থেকে এনে সঙ্গে সঙ্গে চালু করে ফেলেন, যা ভুল। ফ্রিজ চালু করার পর প্রথম ২৪ ঘণ্টা বেশি খাবার না রাখা ভালো। ধাপে ধাপে খাবার রাখতে হবে যেন ফ্রিজ ধীরে ধীরে টেম্পারেচারে অভ্যস্ত হয়।
- ফ্রিজে গরম খাবার কখনোই সরাসরি রাখা উচিত নয়। গরম খাবার রাখলে ভেতরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় এবং কম্প্রেসরের ওপর চাপ পড়ে। এতে ফ্রিজের আয়ু কমে যেতে পারে। খাবার ঠান্ডা করে, ঢেকে রেখে রাখাই ভালো। এছাড়া অনেকেই ফ্রিজের দরজা বারবার খোলেন যা একেবারেই ঠিক না। দরজা যত কম খোলা যায় তত ভালো, কারণ ভেতরের ঠান্ডা হাওয়া বেরিয়ে যায়
ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের সহজ টিপস
- ফ্রিজের বাইরে ও ভেতরের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাইরের অংশে ধুলাবালি জমে গেলে তা ধীরে ধীরে যন্ত্রাংশে প্রভাব ফেলে। নরম কাপড় দিয়ে হালকা পানি বা হালকা সাবান দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করলেই হবে। ভেতরের অংশে খাবার পড়ে গেলে দ্রুত মুছে ফেলুন। কারণ এগুলো থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে, যা আপনার খাবার ও পরিবারের স্বাস্থ্য দুইকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে।
- ফ্রিজের পিছনের অংশ যেখানে কনডেনসার কয়েল থাকে, সেটি প্রায়ই ধুলায় ঢেকে যায়। অন্তত তিন মাস পরপর একবার সেই অংশটি ভালোভাবে পরিষ্কার করা দরকার। অনেকেই বিষয়টি অবহেলা করেন, যার ফলে ফ্রিজ অতিরিক্ত গরম হতে শুরু করে এবং বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। আপনি চাইলে ব্রাশ বা হ্যান্ড ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করে সহজেই এই পরিষ্কার কাজটি করতে পারেন।
- ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক রাখাও একটি বড় বিষয়। অনেকেই খুব কম বা বেশি তাপমাত্রায় ফ্রিজ চালিয়ে থাকেন, যা একদিকে খাবার নষ্ট করে আবার অন্যদিকে যন্ত্রাংশে চাপ ফেলে। সাধারণত গরম কালের জন্য ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালের জন্য ৫-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা উচিত। যদি আপনার ফ্রিজে অটোমেটিক টেম্পারেচার কন্ট্রোল থাকে, তাহলে সেটি ব্যবহার করা আরও ভালো।
- সবশেষে, যখন আপনি দীর্ঘ সময় ফ্রিজ ব্যবহার করবেন না, তখন সেটি বন্ধ করে প্লাগ খুলে দিতে হবে। ভেতরের সব খাবার বের করে নিয়ে পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার করে রাখলে জীবাণু বা দুর্গন্ধের সমস্যা হবে না। এই সময় দরজাটি একটু ফাঁকা রেখে দিতে পারেন যাতে বাতাস চলাচল করে। যারা বাইরে থাকেন বা বাসায় কেউ না থাকে, তাদের জন্য এটি খুবই দরকারি একটি পরামর্শ।
BLOGGER BD-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url