ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল সম্পর্কে জানতে চান প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন? তবে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কেননা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ আপনার মনের মতো করে সাজানো হয়েছে। তাই চলুন ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঋণ-থেকে-মুক্তি-এবং-কোটিপতি-হওয়ার-কোরআনী-আমল

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন, আমরা অনেকেই আছি যারা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে চাই এবং কোটিপতি হওয়ারও অনেক স্বপ্ন দেখি।

পোস্টের মূল পয়েন্টসমূহ: ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

ঋণ এমন একটি জিনিস যা খুব সহজে নেওয়া যায়। কিন্তু সঠিক সময়ের মধ্যে তা ফেরত দেওয়া যায়না। আমরা অনেক মানুষ আছি যারা জরুরী কাজের জন্য অন্যের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকি এবং যে আমাদের ঋণ প্রদান করে সে আমাদের ঋণের টাকা পরিশোধের একটি সময় বেধে দেয় আর সেই সময়ের মধ্যে আমাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর যখন ঋণ পরিশোধের সঠিক সময় আছে, সেই সময় যদি আমাদের কাছে টাকা জোগার না হয় তখন আমরা অনেক চিন্তায় পরে যায়। তাই এই ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা অনেক কিছু করি। তবে আপনি যদি একটি আমল করেন তবে ইনশাআল্লাহ আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন এবং আমলটি অবশ্যই আল্লাহর উপর আস্থা রেখে করতে হবে। চলুন তবে ঋণ থেকে মুক্তি আমলটি সম্পর্কে জানা যাক।

ঋণ থেকে মুক্তির কোরআনী আমল ও হাদিস

এবার আমরা ঋণ থেকে মুক্তির কোরআনী আমল ও হাদিস সম্পর্কে জানবো। আমরা ঋণ থেকে মুক্তি দোয়াসমূহ এবং এর অর্থ সহ কিছু হাদিস নিয়ে আলোচনা করবো তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা 'আন হার-মিকা ওয়াগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও (হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয়) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও। (আবু দাউদ, ১:২১৬, তিরমিযী হাদিস-৩৫৬৩)


ঋণ মুক্তির নিয়তে এই দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ঋণমুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তবেই মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে ঋণ থেকে মুক্ত করবেন ইনশআল্লাহ।

শুধু তাই নয়, হযরত মুহাম্মদ (সা.) সব সময় ভয়-চিন্তা-পেরেশানির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি চাইতেন। তাই যারা ঋণগ্রস্ত; তাদের জন্য ঋণ মুক্তিতে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া জরুরি। হাদিসে এসেছে-

হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অবতরণ করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দোয়া পড়তে শুনতাম-

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি’।


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা পেরেশানি থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে। (সুনানু আবী দাউদ-১৫৫৫)

বিশেষ করে দ্বিতীয় দোয়াটি ঋণ পরিশোধের নিয়ত ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি নামাজের দুই সেজদার মাঝে বসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করা। বিশুদ্ধ নিয়তে আল্লাহর কাছে ঋণ মুক্তির আশ্রয় কামনা করলে মহান আল্লাহ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের তা থেকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঋণ পরিশোধে বিশুদ্ধ নিয়ত ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা, এর পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা এবং প্রত্যেক নামাজের দুই সেজদার মাঝে উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়া। আল্লাহর কাছে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক কামনা করা।

এছাড়া আপনি এই দোয়াটিও পড়তে পারেন-
উচ্চারনঃ বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফি আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ

অর্থঃ আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সঠিকভাবে তা আদায় করণ। (নাসায়ী হাদিস-৪৬৮৩, ইবনে মাজাহ হাদিস-২৪২৪)

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন, মাথায় রাখবেন- শুধু দোয়া করলে হবেনা। আপনাকে অবশ্যই ইসলামকে পুরোপুরিভাবে মেনে চলতে হবে, ইসলাম আইন-কানুন, বিধি-বিধান, আদেশ-নিষেধ সব বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিক সময় আদায় করতে হবে। যদি পারেন তবে বেশি বেশি নফল ইবাদত করুন এবং উপরের দোয়াগুলো নফল নামাজের পরে পড়ুন। এছাড়াও এই দোয়াগুলো আপনি প্রতি ফরজ নামাজের পরে পড়তে পারেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে, বেশি বেশি করে দান-সদকা করা। আপনার যতটুকু সামর্থ্য আপনি দান করুন এবং দানগুলো অবশ্যই সঠিক জায়গা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন জন্য করবেন। কেননা এই দানের মাধ্যমে আপনার উপরে আসা অনেক বিপদ-আপদ মহান আল্লাহ দূরে করে দিবেন।

কোটিপতি হওয়ার কোরআনী নির্দেশনা

ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল সম্পর্কে আমরা উপরে জেনে এসেছি। এবার আমরা কোটিপতি হওয়ার কোরআনী কিছু নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

কোটিপতি-হওয়ার-কোরআনী-নির্দেশনা

ইসলামে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সফলতা অর্জনের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করলে তিনি বরকত দেন। কোটিপতি হওয়ার জন্য ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু মৌলিক নীতির অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:

  • অধিকারভিত্তিক উপার্জন ইসলামে অনুমোদিত। সুদ, ঘুষ বা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, "আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং সদকার মাধ্যমে সম্পদ বৃদ্ধি করেন।" (সুরা আল-বাকারা: ২৭৬)
  • আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন। কোরআনে উল্লেখ আছে, "মানুষের জন্য ততটুকুই রয়েছে, যতটুকু সে প্রচেষ্টা চালায়।" (সুরা আন-নাজম: ৩৯) অর্থাৎ, ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম ছাড়া বড় ধরণের সম্পদ অর্জন সম্ভব নয়।
  • হারাম থেকে দূরে থাকা। ব্যবসা বা চাকরির মাধ্যমে বৈধ সম্পদ অর্জন করাই ইসলামসম্মত। ইসলাম নিষিদ্ধ পণ্য বা সেবার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ গ্রহণকে হারাম ঘোষণা করেছে। তাই কোটিপতি হতে হলে অবশ্যই বৈধ পথ অনুসরণ করতে হবে।
  • দান ও সমাজসেবামূলক কাজ করা। দানের ফলে সম্পদের বরকত বৃদ্ধি পায়। কোরআনে আছে, "যারা তাদের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের জন্য দ্বিগুণ প্রতিদান রয়েছে।" (সুরা আল-বাকারা: ২৬১) অর্থাৎ, দান করলে সম্পদ হ্রাস না হয়ে বরং বৃদ্ধি পায়।

ইসলামে ঋণ নেওয়া ও পরিশোধের নির্দেশনা 

প্রিয় পাঠক, আমরা ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল সম্পর্কে জেনেছি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী নির্দেশনা সম্পর্কেও জেনেছি। চলুন এবার আমরা ইসলামে ঋণ নেওয়া ও পরিশোধের নির্দেশনা সম্পর্কে জেনে আসি।

ইসলামে ঋণ নেওয়া ও তা পরিশোধের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামের মূলনীতি হলো ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং যথাসময়ে তা পরিশোধ করা, যেমন:

  • অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, "ঋণ একটি দুশ্চিন্তার কারণ, যা রাতে ঘুম হারাম করে এবং দিনে সম্মানহানি ঘটায়।" তাই প্রয়োজন ছাড়া ঋণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • ঋণ গ্রহণের আগে পরিকল্পনা করা জরুরি। ঋণ নেওয়ার আগে তা পরিশোধের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমরা যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঋণ গ্রহন করো, তবে তা লিপিবদ্ধ করো।" (সুরা আল-বাকারা: ২৮২)
  • সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণ করা আবশ্যক। ইসলাম সুদকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করলে তা ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়। নবী (সা.) বলেন, "সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী, সাক্ষী এবং লেখক-সকলেই সমানভাবে অপরাধী।" (সহিহ মুসলিম)
  • ঋণ পরিশোধে আন্তরিকতা থাকা উচিত। কোরআনে উল্লেখ আছে, "যদি ঋণগ্রহীতা সংকটে থাকে, তবে তাকে সহজ সময় পর্যন্ত অবকাশ দাও।" (সুরা আল-বাকারা: ২৮০) ইসলামে ঋণ পরিশোধে ইচ্ছাকৃত অবহেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

ঋণমুক্ত-ও-স্বচ্ছল-জীবন-গঠনের-কার্যকর-উপায়

ঋণমুক্ত ও স্বচ্ছল জীবন গঠনের কার্যকর উপায়

ঋণমুক্ত জীবন গঠন করতে হলে কিছু কার্যকরী উপায় অনুসরণ করা জরুরি। ইসলামিক জীবনদর্শন অনুযায়ী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, যেমন:

  • আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা। কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, "অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।" (সুরা আল-ইসরাঃ ২৭) অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • অবৈধ আয় পরিত্যাগ করা। হারাম অর্থে কখনো বরকত হয় না। নবী (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি হারাম উপার্জন করে, তার দোয়া কবুল হয় না।" তাই বৈধ উপার্জনের মাধ্যমে ঋণমুক্ত হওয়া জরুরি।
  • বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তোলা। সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব। কোরআনে বলা হয়েছে, "যারা সম্পদ সঞ্চয় করে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে।" (সুরা আত-তাওবা: ৩৪)।
  • সঞ্চয়ের মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল জীবন গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

শেষ কথন

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল এছাড়া অর্থনৈতিক সফলতা, ঋণ নেওয়া ও পরিশোধের নীতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। ইসলাম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে ন্যায়পরায়ণতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে চায়। বৈধ পথে পরিশ্রম ও আল্লাহর উপর নির্ভর করে সম্পদ অর্জনই প্রকৃত সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও সময় মতো পরিশোধ করা ব্যক্তিগত ও সামাজিক শান্তি নিশ্চিত করে। সর্বোপরি, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও দানের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছল জীবন গঠন সম্ভব। ইসলামের নির্দেশিত অর্থনৈতিক নীতিগুলো মেনে চললে ব্যক্তিগত জীবনে বরকত আসবে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ সম্ভব হবে।

আমরা আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। 

আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করা এবং পৌঁছে দেওয়া এবং এতে আপনাদের সহযোগীতা আমরা একান্তভাবে কাম্য করছি। লেখাটি আপনাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আরো অন্যান্যদের নিকট শেয়ার করে তাদেরও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন