অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম - অফিসিয়াল ফোন চেক করার উপায়
আপনি যদি অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম বা অফিসিয়াল ফোন চেক করার উপায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তবে আমরা বলছি আপনি একদম সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। কেননা আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়টি হচ্ছে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম সম্পর্কে।
আজকে এই নিবন্ধে আমরা সহজ ভাষায় জানাবো কীভাবে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করবেন এবং কেন ফোন কেনার সময় আমরা চেক করে নিবো ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। তবে চলুন জেনে আসা যাক অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম।পোস্টের মূল পয়েন্টসমূহ: অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম
- অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের মাঝে পার্থক্য
- অফিসিয়াল ফোন কেনা ভালো হবে নাকি আনঅফিসিয়াল
- IMEI নম্বর কী এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- IMEI নম্বর কীভাবে বের করবো?
- বাংলাদেশে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম
- মেসেজের মাধ্যমে IMEI যাচাই পদ্ধতি
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যাচাই পদ্ধতি
- কীভাবে নকল IMEI নম্বর শনাক্ত করব?
- অফিসিয়াল মোবাইল না হলে কী করব?
- শেষ কথন
অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের মাঝে পার্থক্য
আপনার মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল, তা জানাটা কেন গুরুত্বপূর্ণ আপনি কি তা বলতে পারেন? একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় অনেকেই চিন্তিত থাকেন সেটি বৈধ নাকি অবৈধ। কারণ অননুমোদিত বা অবৈধ মোবাইল ব্যবহার করলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন সিম বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সরকারি আইন লঙ্ঘন। আর একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে এটির তথ্য সরকার নিকট থাকে না অর্থাৎ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) এর নিকট এটির সঠিক তথ্য জমা থাকেনা কেননা এটি আনঅফিসিয়াল ফোন। তবে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের মাঝে পার্থক্যের বিষয়টি।
অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো খুবই
গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি স্মার্টফোন কেনার সময় এগুলো বোঝা প্রয়োজন। চলুন তবে
জেনে আসি অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের মাঝে পার্থক্যগুলো কি কি:
অফিসিয়াল ফোন হলো সেগুলো, যেগুলো সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর বা
নির্ধারিত বিক্রেতাদের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। এ ধরনের ফোনগুলোতে সরকারি শুল্ক
এবং ট্যাক্স প্রদান করা হয় এবং এগুলোর মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ নজরদারি
থাকে।
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোন হলো সেগুলো, যেগুলো অনুমোদন ছাড়াই বা কালো বাজারের
মাধ্যমে আমদানি করা হয়। এ ধরনের ফোনের ক্ষেত্রে শুল্ক বা ট্যাক্স পরিশোধ করা
হয় না এবং অনেক সময় এগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ থাকে। আনঅফিসিয়াল ফোনে সরকারি
অনুমোদনের অভাবে ডিভাইসটি অনেক সময় নেটওয়ার্কে কাজ নাও করতে পারে। এক কথায়
বললে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলোর তথ্য সরকার নিকট থাকে না অর্থাৎ বাংলাদেশ ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নিকট এটির সঠিক তথ্য জমা থাকেনা কেননা এটি আনঅফিসিয়াল
ফোন।
অফিসিয়াল ফোন কেনার সময় আমরা নির্দিষ্ট সুবিধা পেয়ে থাকি, যেমন:
- ওয়ারেন্টি: অফিসিয়াল ফোনের সাথে সাধারণত এক বা দুই বছরের ওয়ারেন্টি থাকে, যা আনঅফিসিয়াল ফোনে অনুপস্থিত।
- পরিবর্তনযোগ্য যন্ত্রাংশ: অফিসিয়াল ফোনের যন্ত্রাংশ নির্ভরযোগ্য এবং সহজলভ্য।
- আপডেট সুবিধা: অফিসিয়াল ফোনে সফটওয়্যার আপডেট পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোন অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলোতে ঝুঁকিও থাকে, যেমন হার্ডওয়্যার সমস্যা বা নেটওয়ার্ক ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি।
অফিসিয়াল ফোন কেনা ভালো হবে নাকি আনঅফিসিয়াল?
অফিসিয়াল ফোন কেনা সবসময়ই নিরাপদ এবং ব্যবহারকারীর জন্য লাভজনক। কারণ
অফিসিয়াল ফোনের সাথে রয়েছে মানসম্মত পরিষেবা এবং বিক্রয়-পরবর্তী সাপোর্ট। এই
ফোনগুলো দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স দেয় এবং কাস্টমার সাপোর্টের নিশ্চয়তা
থাকে।
অফিসিয়াল ফোন কেনার সুবিধাগুলো হলো:
- নিরাপত্তা: অফিসিয়াল ফোনে নকল বা চোরাই যন্ত্রাংশ ব্যবহারের আশঙ্কা থাকে না।
- বিশ্বাসযোগ্যতা: অফিসিয়াল ফোনের ব্র্যান্ড এবং ডিস্ট্রিবিউটর বিশ্বস্ত।
- নেটওয়ার্ক সমর্থন: এগুলোতে বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে কোনো বাধা ছাড়াই কাজ করার নিশ্চয়তা থাকে।
অন্যদিকে, যারা কম খরচে ফোন কিনতে চান, তারা আনঅফিসিয়াল ফোনের দিকে ঝুঁকতে
পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, কম খরচে কেনা আনঅফিসিয়াল ফোন দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার
কারণ হতে পারে। যেমন, নেটওয়ার্ক কাজ না করা, হঠাৎ ডিভাইস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা
ওয়ারেন্টি না পাওয়া যা আমরা উপরে আলোচনা করে এসেছি।
IMEI নম্বর কী এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
IMEI নম্বর হলো International Mobile Equipment Identity-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
এটি প্রতিটি মোবাইল ফোনের একটি ইউনিক আইডেন্টিফায়ার, যা সাধারণত ১৫ সংখ্যার
হয়ে থাকে। এটি ফোনের জন্য একটি ডিজিটাল পরিচয়পত্রের মতো কাজ করে।
IMEI নম্বরের গুরুত্ব:
IMEI নম্বর যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নম্বর যেটি আমরা ফোন কেনার সময় পেয়ে
থাকি এবং এই নম্বরটি প্রতিটি ফোনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে তাকে। এই নম্বরের
কিছু গুরুত্ব সম্পর্কে নিচে বলা হলো:
- চুরি বা হারানো ফোন ট্র্যাকিং: চুরি বা হারানো ফোন শনাক্ত করতে IMEI নম্বর ব্যবহার করা হয়।
- ফোনের আসল পরিচয় নিশ্চিতকরণ: কোন ফোন অফিসিয়াল, তা যাচাই করতে IMEI নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- নেটওয়ার্ক ব্লক করা: যদি কোনো ডিভাইস চুরি হয়, তবে অপারেটররা IMEI নম্বর ব্লক করে দিতে পারে, যাতে ফোনটি ব্যবহৃত না হয়।
- ওয়ারেন্টি সার্ভিস: অফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে IMEI নম্বর ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
IMEI নম্বর কীভাবে বের করবো?
আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের ফোনের IMEI নম্বরটি কত রয়েছে এবং এটি কিভাবে বের
করতে হয়। তবে বলে রাখি ফোনের IMEI নম্বর বের করার জন্য বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি
রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:
ডায়াল পদ্ধতি ব্যবহার করুন:
- ফোনের ডায়াল প্যাডে *#06# ডায়াল করুন।
- স্ক্রিনে আপনার ফোনের IMEI নম্বর প্রদর্শিত হবে।
ফোনের সেটিংস থেকে:
- ফোনের Settings-এ যান।
- About Phone বা Device Information অপশনে ক্লিক করুন।
- সেখান থেকে IMEI নম্বর খুঁজে পাওয়া যাবে।
ফোনের প্যাকেট বা রসিদে দেখুন:
- ফোন কেনার সময় প্যাকেট বা রসিদে IMEI নম্বর উল্লেখ থাকে।
ব্যাটারির পিছনে দেখুন (যদি প্রযোজ্য হয়):
- কিছু পুরনো মডেলের ফোনের ব্যাটারির পিছনে IMEI নম্বর লেখা থাকে।
- IMEI নম্বর জানা শুধু চুরি বা হারানো ফোন শনাক্ত করতে নয়, বরং ফোনের অফিসিয়াল স্ট্যাটাস যাচাই করতেও সাহায্য করে।
বাংলাদেশে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম
আমরা আমাদের মূল পয়েন্টে চলে এসেছি অর্থাৎ অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম
এটি সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। তবে এটি শুরু করার আগে বলে রাখি, আপনি
যদি উপরের ধাপগুলো পড়ে না আসেন তবে হয়তো আপনার জন্য এই ধাপটি কঠিন হতে পারে তাই
সহজভাবে বুঝার জন্য উপরের ধাপগুলো অনুগ্রহ করে পড়ে আসুন। চলুন তবে এবার জেনে
নেওয়া যাক বাংলাদেশে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা লক্ষাধিক। প্রযুক্তির এই যুগে
প্রতিদিন নিত্যনতুন ফোন বাজারে আসছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন অফিসিয়াল
এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে যায়। মোবাইলের আইএমইআই
(IMEI) নম্বরের মাধ্যমে সহজেই জানা যায় কোন ফোন অফিসিয়াল এবং কোন ফোন
আনঅফিসিয়াল।
অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার পদ্ধতি
বাংলাদেশে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার জন্য বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো
অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার ফোনটি অফিসিয়াল কিনা।
০১. আইএমইআই (IMEI) নম্বর যাচাই করা
প্রতিটি মোবাইল ফোনে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে, যাকে আইএমইআই
নম্বর বলা হয়। আইএমইআই নম্বর যাচাই করার পদ্ধতি:
- আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে *#06# ডায়াল করুন। এটি স্ক্রিনে আইএমইআই নম্বর প্রদর্শন করবে।
- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)-এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে:
- BTRC IMEI চেকিং পোর্টাল এ যান।
- সেখান থেকে আপনার মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ইনপুট করুন।
- সঠিক হলে স্ক্রিনে ফোনের অফিসিয়াল স্ট্যাটাস দেখাবে।
এটি হচ্ছে অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম এর প্রথম একটি ধাপ। এখন আমরা
পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন তবে দ্বিতীয় ধাপটি সম্পর্কে আলোচনা
করা যাক।
০২. ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে যাচাই পদ্ধতি
যেকোন মোবাইল ফোন থেকে KYD <space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে 16002 তে
এসএমএস প্রেরণের করুন। আমার এসএমএস প্রেরণে কিছু সময়ের মধ্যে BTRC থেকে একটি
ফিরতি এসএমএস আসবে যেখানে লেখা থাকবে আপনার ফোন BTRC এর নিবন্ধনে
রয়েছে।
০৩. ফোনের প্যাকেট বা রসিদ যাচাই
ফোনের প্যাকেট বা ক্রয়ের রসিদে উল্লেখিত আইএমইআই নম্বর চেক করে নিশ্চিত হওয়া
যায় ফোনটি অফিসিয়াল কিনা।
০৪. নির্ধারিত ডিলার থেকে কেনা
অফিসিয়াল মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত ডিলার বা ব্র্যান্ড স্টোর থেকে
ফোন কেনা উচিত। এতে আপনি সঠিক ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।
এই কয়েকটি পদ্ধতির ভেতরে ০২নং যাচাই পদ্ধতি খুবই সহ যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার
হাতে থাকা ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল সেটি চেক করে নিতে পারেন যা খুবই সহজ
একটি পদ্ধতি।
তাহলে আমরা আমাদের মূল বিষয়টি সম্পর্কে অর্থাৎ অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার
নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম। তবে আমাদের আলোচনা এখন শেষ হয়নি।
আমরা এখন আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা তাই চলুন বাকি বিষয়গুলো
সম্পর্কে জানা যাক।
মেসেজের মাধ্যমে IMEI যাচাই পদ্ধতি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) আইএমইআই যাচাইয়ের জন্য মেসেজ
সেবা চালু করেছে, যা স্মার্টফোন বা সাধারণ ফোন ব্যবহারকারীরা উভয়ই সহজেই
ব্যবহার করতে পারেন।
মেসেজ পাঠানোর ধাপসমূহ:
- মোবাইলের ডায়াল প্যাডে *#06# ডায়াল করুন এবং আইএমইআই নম্বরটি কপি করুন।
- ফোনের মেসেজ অপশনে যান এবং টাইপ করুন IMEI<space>15 সংখ্যার আইএমইআই নম্বর।
- মেসেজটি পাঠান 16002 নম্বরে।
- কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনি আপনার মোবাইলের স্ট্যাটাস সম্পর্কে উত্তর পাবেন।
মেসেজ পদ্ধতির সুবিধা:
- ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য।
- দ্রুত এবং সহজ।
- গ্রামাঞ্চলের ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
- মেসেজের মাধ্যমে যাচাই করার সুবিধার ফলে অনেক ব্যবহারকারী সহজেই তাদের ডিভাইসের বৈধতা নিশ্চিত করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যাচাই পদ্ধতি
অ্যাপের মাধ্যমে আইএমইআই যাচাই করা আরও সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব। বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)-এর নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এটি
করা যায়।
অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার করার ধাপসমূহ:
- গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে "NEIR BTRC" অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
- অ্যাপে ঢুকে আপনার মোবাইলের আইএমইআই নম্বরটি প্রবেশ করান।
- কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মোবাইলের স্ট্যাটাস সম্পর্কে তথ্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
অ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা:
- ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস।
- একাধিক আইএমইআই যাচাই করার সুযোগ।
- ভবিষ্যতে রেকর্ড সংরক্ষণের সুবিধা।
- এই পদ্ধতিটি নতুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
কীভাবে নকল IMEI নম্বর শনাক্ত করব?
নকল আইএমইআই নম্বর শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মোবাইলের বৈধতা
এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
নকল আইএমইআই শনাক্ত করার পদ্ধতি:
- উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে যাচাই করুন। যদি কোনো ফলাফল না পাওয়া যায়, তবে এটি নকল আইএমইআই হতে পারে।
- ফোনের প্যাকেজিং বা ব্যাটারির নিচে থাকা সিরিয়াল নম্বর এবং আইএমইআই নম্বর মেলান।
- যদি সন্দেহ থেকে যায়, তবে ব্র্যান্ডের অথরাইজড শপে গিয়ে যাচাই করুন।
নকল আইএমইআই-এর ঝুঁকি:
- মোবাইল হারিয়ে গেলে এটি ট্র্যাক করা সম্ভব নয়।
- মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে।
- আইনগত সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা।
- এই সমস্যাগুলো এড়াতে ব্যবহারকারীদের সতর্ক হতে হবে।
অফিসিয়াল মোবাইল না হলে কী করব?
আমরা অনেকেই ফোন কেনার সময় এটা নিয়ে চিন্তা করিনা বা কথাও বলি না বা জানিনা
যে, আমি যে ফোনটি কিনছি সেটি অফিসিয়িাল না আনঅফিসিয়াল মোবাই। আপনার ফোনটি যদি
অফিসিয়াল না হয়, তবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি,
যেমন:
আপনাকে যা করতে হবে:
- ফোনটি যেখানে থেকে কেনা হয়েছে সেখানে অভিযোগ জানান।
- যদি বিক্রেতা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তবে আইনগত ব্যবস্থা নিন।
- আনঅফিসিয়াল ফোন ব্যবহার করা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাই এটি ব্যবহার থেকে বন্ধ থাকুন।
অফিসিয়াল মোবাইল কেনার পরামর্শ:
- ভবিষ্যতে অফিসিয়াল মোবাইল কেনার জন্য নির্ধারিত ব্র্যান্ড শপ বা অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে কেনাকাটা করুন।
শেষ কথন
IMEI-যাচাই বাংলাদেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। সরকারি ওয়েবসাইট, মেসেজ সেবা এবং অ্যাপের মাধ্যমে এটি করা যায়। নকল
IMEI-শনাক্ত করা এবং অফিসিয়াল মোবাইল কিনে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নিরাপদ
থাকতে পারবেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা কেবল নিরাপত্তার জন্য
নয়, বরং বৈধভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি দায়িত্বও। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে
আপনি হতে পারেন আরও সচেতন এবং নিরাপদ।
আমরা আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং অফিসিয়াল মোবাইল চেক
করার নিয়ম সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছেন।
আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করা এবং পৌঁছে
দেওয়া এবং এতে আপনাদের সহযোগীতা আমরা একান্তভাবে কাম্য করছি। লেখাটি আপনাদের
পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আরো অন্যান্যদের নিকট শেয়ার করে তাদেরও এই গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন।