ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হন তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকে আমরা ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো এবং জায়গাগুলো সম্পর্কে জানবো। 

ঢাকার-কাছাকাছি-একদিনে-ভ্রমনের-১০-টি-জায়গা

আপনি যদি ঘুরাঘুরি করতে খুবই পছন্দ করেন তবে এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা সম্পর্কে।

পোস্টের মূল পয়েন্টসমূহ: ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা

ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা

আপনার যারা ছুটি দিনে কোথাও ঘুরতে যেতে অনেক সমস্যা বোধ করছেন যেমন- কোথায় যাবো? কোথায় গেলে ভালো হবে? কোন জায়গাতে গেলে অনেক সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে পারবো? খরচ কেমন হবে এই জায়গাতে গেলে? ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করছেন, আপনাদের জন্য তাই ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা নিয়ে উপস্থিত। চলুন প্রথমেই জেনে নেই সেই ১০ টি জায়গা কি কি?

  • ১. পানাম সিটি ও বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর 
  • ২. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
  • ৩. জিন্দা পার্ক
  • ৪. গোলাপ গ্রাম
  • ৫. মহেড়া জমিদার বাড়ি
  • ৬. মৈনট ঘাট
  • ৭. তাজমহল ও পিরামিড
  • ৮. মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
  • ৯. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
  • ১০. নুহাশ পল্লী

সাপ্তাহিক ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে এই জায়গাগুলো নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারেন। এবার চলুন আমরা এই জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই, যেমন- অল্প করে এই জায়গাগুলোর ইতিহাস এবং যাতায়াত সম্পর্কে।

পানাম-সিটি-ও-বাংলাদেশ-লোকশিল্প-জাদুঘর

পানাম সিটি ও বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর 

পানাম সিটি ও বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর 

প্রিয় পাঠক, ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গার মধ্যে পানাম সিটি ও বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর হচ্ছে আজকে আমাদের তালিকার প্রথম দর্শনীয় স্থান। 

পানাম সিটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় অবস্থিত। মুঘল আমলে এই শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। এখানে ১৫০টিরও বেশি প্রাচীন ভবন রয়েছে, যা মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে। বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর একই এলাকায় অবস্থিত এবং এটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতির একটি চমৎকার প্রদর্শনী কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, পুতুল, মাটির জিনিসপত্র এবং পোশাক প্রদর্শিত হয়।

এই জাদুঘরটি বাংলাদেশের লোকজ শিল্প ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে যেখানে বিভিন্ন কারুশিল্পের কর্মশালা পরিচালিত হয়। পানাম সিটিতে ভ্রমণ করলে ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং লোকশিল্পের সমৃদ্ধির চিত্র পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে। এটি শিক্ষা, গবেষণা এবং বিনোদনের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
  • যাতায়াত: গুলিস্তান থেকে স্বদেশ, বোরাক ও সোনারগাঁ নামক বাসে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় নামতে হবে। মোগরাপাড়া থেকে পানাম সিটি বা লোকশিল্প জাদুঘরের দূরত্ব প্রায় ২ কি.মি.। চাইলে রিক্সা অথবা সিএনজি তে করে যেতে পারেন। 
বালিয়াটি-জমিদার-বাড়ি
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় বালিয়াটি গ্রামে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত । এই জমিদার বাড়ির বিশাল সব স্থাপনা আপনাকে নি:সন্দেহে অবাক করবে । বালিয়াটি জমিদারবাড়ির স্থাপত্যশৈলী প্রাচীন, উপনিবেশিক ধাঁচের। বাড়ির প্রতিটি প্রাসাদে সূক্ষ্ম কারুকাজ ও নকশা সহজেই পর্যটকের দৃষ্টি কাড়ে। বিশেষ করে সামনের সারির প্রাসাদের থামগুলোর ওপরের দিকে সর্পাকৃতি ও মানুষের মাথার অপূর্ব নকশা সবাইকে মোহিত করে।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের বড় জমিদার বাড়িগুলোর একটি। মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে সান বাধানো পুকুর ঘাট। জমিদার বাড়ির পুরোটাই মনোরম পরিবেশে ঘেরা! প্রতি সপ্তাহে রোববার ও সোমবার অর্ধবেলা ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত গেট দর্শনার্থীদের জন্য গেট উন্মুক্ত থাকে। 
  • যাতায়াত: ঢাকার গাবতলী থেকে এসবি লিংক ও জনসেবা বাসে সাটুরিয়া যাওয়া যাবে। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৭০-৮০ টাকা। সাটুরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে রিকশা বা ভ্যানে করেও যাওয়া যায়।
জিন্দা-পার্ক
জিন্দা পার্ক

জিন্দা পার্ক

জিন্দা পার্ক ঢাকা জেলার রূপগঞ্জে অবস্থিত একটি মনোরম পার্ক। এটি একটি বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এবং এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থাপত্যের চমৎকার সংমিশ্রণ রয়েছে। পার্কের ভিতরে বিশাল লেক, সবুজ গাছপালা, খোলা মাঠ এবং বিভিন্ন রকমের পশুপাখি রয়েছে।

জিন্দা পার্কে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এখানে নৌকা ভ্রমণ, পিকনিক এবং ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও রয়েছে। পার্কটির পরিবেশ এবং সার্বিক সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

প্রবেশমূল্য: প্রাপ্তবয়স্ক ১০০ টাকা, ছোটোদের ৫০ টাকা।
  • যাতায়াত: জিন্দা পার্ক যাবার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ৩০০ ফিট দিয়ে। সেখান থেকে যেতে হবে কাঞ্চন ব্রিজ। এরপর ঢাকা সিটি বাইপাস ধরে কিছু দুরেই জিন্দা পার্ক। অথবা ঢাকা হতে টঙ্গী মীরের বাজার হয়ে বাইপাস রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচপুর ব্রিজ দিয়ে ভুলতা গাওছিয়া হয়ে বাইপাস দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে জিন্দা পার্কে যাওয়া যায়।
গোলাপ-গ্রাম
গোলাপ গ্রাম

গোলাপ গ্রাম

গোলাপ গ্রাম সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। এটি গোলাপ ফুলের জন্য বিখ্যাত এবং এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির সামনে গোলাপের বাগান রয়েছে। সারা বছরই এখানে বিভিন্ন ধরনের গোলাপ ফুল ফোটে যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

গোলাপ গ্রামের বাসিন্দারা প্রধানত গোলাপ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখানে গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেক পর্যটক আসেন। গ্রামে গেলে আপনি গোলাপ ফুলের মনোরম দৃশ্য এবং সৌরভ উপভোগ করতে পারবেন। গোলাপ গ্রাম ভ্রমণ প্রকৃতি এবং ফুলপ্রেমীদের জন্য একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।
  • যাতায়াত: মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পরপর ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়ে। সাদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৪৫ মিনিট- ১ ঘণ্টা লাগবে। 

এছাড়া মিরপুর শাহআলী মাজার এর সামনে কোনাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাসে করে আকরান বাজার। আকরান বাজার থেকে অটোতে করে ফুলের বাজারে কিংবা সাদুল্লাহপুর গ্রাম।

মহেড়া-জমিদার-বাড়ি
মহেড়া জমিদার বাড়ি

মহেড়া জমিদার বাড়ি

মহেড়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৮৯০ সালে মহারাজা গিরিশচন্দ্র রায় চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন। বাড়িটি তিনটি অংশে বিভক্ত এবং প্রতিটি অংশে মুঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখা যায়।

বাড়িটির প্রধান ফটকটি বিশাল এবং চমৎকার কারুকাজে সজ্জিত। বাড়ির ভিতরে রয়েছে বেশ কয়েকটি সুন্দর কক্ষ, খোলা প্রাঙ্গণ এবং ছোট ছোট বাগান। বর্তমানে এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এর স্থাপত্যের প্রশংসা করতে আসেন।
  • যাতায়াত: টাঙ্গাইল গামী বাসে "নাটিয়া পাড়া” বাস স্ট্যান্ডে নামতে হবে। সময় লাগবে ২-২.৩০ ঘন্টার মত। এরপর একটা অটো রিকশা নিয়ে সহজেই মহেরা জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন। (এছাড়া মহাখালি থেকে “ঝটিকা সার্ভিস” নামে একটি বাস যায়)
মৈনট-ঘাট
মৈনট ঘাট

মৈনট ঘাট

মৈনট ঘাট মুন্সীগঞ্জ জেলার দোহার উপজেলায় অবস্থিত। এটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত একটি সুন্দর পিকনিক স্পট। মৈনট ঘাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদীর দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে।

এখানে আপনি নৌকা ভ্রমণ করতে পারবেন এবং নদীর তাজা বাতাস উপভোগ করতে পারবেন। সপ্তাহান্তে পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান। মৈনট ঘাটে এসে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
  • যাতায়াত: ঢাকা থেকে মৈনট ঘাটে আসার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়টি হচ্ছে গুলিস্তানের গোলাপ শাহের মাজারের সামনে থেকে সরাসরি মৈনট ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যমুনা পরিবহনে চেপে বসা। ফেরার সময় একই বাসে আবার ঢাকা চলে আসবেন। মৈনট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে শেষ বাসটি ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৬ টায়।
তাজমহল-ও-পিরামিড
তাজমহল ও পিরামিড

তাজমহল ও পিরামিড

চলচিত্র নির্মাতা আহসানুল্লাহ মনি আগ্রার তাজমহলের আদলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মান করেছেন তাজমহল। রেপ্লিকা হলেও প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নির্মান করা হয়েছে। এটি মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন তাজমহলের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ এবং মিশরের পিরামিডের অনুকরণে নির্মিত।

এই জায়গাটি দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় কারণ এটি বিদেশে ভ্রমণ না করেও ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এখানে পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে ছবি তোলা এবং সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে। তাজমহল ও পিরামিড ভ্রমণ ইতিহাস এবং স্থাপত্যে আগ্রহী দর্শকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
  • যাতায়াত: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী কিংবা কিশোরগঞ্জগামী বাসে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে করে বাংলার তাজমহল দেখতে যেতে পারবেন।
মুড়াপাড়া-জমিদার-বাড়ি
মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি

মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১৮৮৯ সালে প্রায় ৬২ বিঘা জমির উপর বাবু রামরতন ব্যানার্জী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই জমিদার বাড়িটিও ঐতিহাসিক নিদর্শন ধারন করে আছে। বর্তমানে এটি একটি কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যা সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ নামে পরিচিত। জমিদার বাড়িটি একটি বিশাল প্রাসাদ যা ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে।

বাড়িটির ভিতরে রয়েছে বিশাল হলরুম, বারান্দা, এবং উঁচু টাওয়ার। জমিদার বাড়িটি বর্তমানে একটি কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং স্থাপত্যশৈলী পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
  • যাতায়াত: ঢাকার সায়েদাবাদ, গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ি বাস টার্মিনাল থেকে বাসে করে (মেঘলা, আসিয়ান বা গ্লোরি) করে ভুলতা বা রূপসী বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। নরসিংদী ও ভৈরবগামী বাসে ভুলতা এসে সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিতে (জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া) দিয়ে সরাসরি মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
বঙ্গবন্ধু-সাফারি-পার্ক
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রায় ৩৮১০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে অবস্থিত। পার্কটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের ভিতরের অংশকে আবার ৫টি অংশে ভাগ করা হয়েছে-কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান ডাইভার্সিটি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। এছাড়াও এখানে রয়েছে পাখি শালা, প্রজাপতি সাফারি, জিরাফ ফিডিং স্পট, অর্কিড হাউজ, শকুন ও পেঁচা কর্নার, এগ ওয়ার্ল্ড, বোটিং, লেইক জোন, আইল্যান্ড, প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র, ফ্যান্সি কার্প গার্ডেন আরো অনেক বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর সমারোহ।

পার্কটিতে সিংহ, বাঘ, হাতি, হরিণ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। এখানে সাফারি বাসে চড়ে প্রাণীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর অভিজ্ঞতা লাভের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা।
  • যাতায়াত: ঢাকা - গাজীপুরের বাসে গেলে বাঘের বাজার নামতে হবে। সেখান থেকে খুব সহজে সিএনজি বা অটোরিকশা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
নুহাশ-পল্লী
নুহাশ পল্লী

নুহাশ পল্লী

নুহাশ পল্লী বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত একটি মনোরম স্থান। এটি গাজীপুর জেলার পিরুজালি গ্রামে অবস্থিত। এখানে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ও পরিচালিত বিভিন্ন সিনেমার শুটিং হয়েছে।

নুহাশ পল্লীতে রয়েছে সবুজ গাছপালা, পুকুর, ছোট ছোট কুঁড়েঘর, এবং একটি লেক। এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান যেখানে তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। নুহাশ পল্লী ভ্রমণ প্রকৃতি এবং সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
  • যাতায়াত: ঢাকা গাজীপুর রাস্তার হোতাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে নেমে অটো রিকশা বা সিএনজিতে করে নুহাশ পল্লী যাওয়া যায়।

শেষ কথন

আমরা তাহলে ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম এই জায়গাগুলোর ইতিহাস এবং কিভাবে আমরা এই জায়গাগুলোতে যাতায়াত করতে পারি। আমরা যারা ভ্রমন পিপাসু মানুষ এবং ভ্রমন করতে খুবই ভালোবাসি তাদের জন্য এই জায়গাগুলো খুবই ভালো হবে বলে আমরা মনে করি। তবে প্রিয় ভ্রমন পিপাসু ভাই ও বোন আপনাদের ভ্রমনের ক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, এগুলো হচ্ছে পর্যটন এলাকা এবং এগুলো জায়গাতে অনেক ভ্রমন পিপাসু মানুষ ভ্রমন করতে আসে তাই আপনাদের নিকট অনুরোধ, যেখানে-সেখানে অথবা অনির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রতিটি জায়গার সৌন্দর্য বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।

আমরা আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং ঢাকার কাছাকাছি একদিনে ভ্রমনের ১০ টি জায়গা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। 

আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করা এবং পৌঁছে দেওয়া এবং এতে আপনাদের সহযোগীতা আমরা একান্তভাবে কাম্য করছি। লেখাটি আপনাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আরো অন্যান্যদের নিকট শেয়ার করে তাদেরও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন