ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন

প্রিয় পাঠক, 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

আজকে আমরা আলোচনা করবো ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন? আমরা সকলে জানি যে, এই পুরো বিশ্বের কোনায়-কোনায় একজন করে হলেও মুসলিমের বসবাস এবং এটিও জানি যে, পুরো বিশ্বে মুসলিম ধর্মে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ। এটি একটি শান্তির ধর্ম এবং একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এই ধর্মে পরিপূর্ণভাবে বিস্তারিত করে বলা হয়েছে।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন

তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল বিষয় অর্থাৎ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন? বা ইসলাম ধর্মকে কেন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় তার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন- "যা'লিকাল কিতাবু লা'রাইবা ফিহি হুদাল্লিল মুতাক্কিন"। 

(সুরা বাকারা, আয়াত-০২) 

অর্থঃ ইহা সেই কিতাব যাহাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই, আর এটি খোদাভীরুদের জন্য পথনির্দেশিকা।

ইসলাম আরবী শব্দ। এটি এসেছে "সিলম"বা "সালাম" ধাতু থেকে। "সিলম" বা "সালাম" এর অর্থ শান্তি, চুক্তি বা সন্ধি। ইসলামের আবিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা, আত্বসমর্পন করা, শান্তির পথে চলা ও মসুলমান হওয়া। অনুগত হওয়া মানে কাহারো প্রিয়ভজন হতে চেষ্টা বা সাধনা করা, আনুগত্য করা মানে কাহারো নেতৃত্ব ও কতৃত্বকে গ্রহনের মাধ্যমে তার আদেশ ও নিশেধসমুহ মান্য করা, আত্বসমর্পন অর্থ হচ্ছে কাহারো স্রেষ্টত্ব স্বীকার করা। এক কথায়, ইসলাম হচ্ছে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা।

ইসলামের মূল আদর্শ কী?

ইসলামের মূল আদর্শ হল মানবতার প্রচার এবং প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের প্রগতির অনুপ্রেরণা দেওয়া। ইসলাম শান্তি, সহিষ্ণুতা এবং ভাল সম্পর্কের মাধ্যমে মানবতার সম্মান ও সমৃদ্ধি বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এটি মানবিক সম্পর্ক এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে সঠিক নীতি প্রদর্শন করে। ইসলামের আদর্শ অন্যান্যের মধ্যে ধর্মীয় মধ্যে শান্তি এবং সম্মান সৃষ্টি করে, যা একটি সৎ এবং সমগ্র সমাজের গঠনে সাহায্য করে।

ইসলামের মূল আদর্শ কী?

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন?

চলুন এবার জেনে আসা যাক ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন? ইসলাম ধর্ম মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। ইসলামের মূল লক্ষ্য মানুষকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক জীবন যাপনে সহায়তা করা। জীবনের প্রতিটি দিকেই ইসলামের নীতিমালা রয়েছে, যা মানুষকে নৈতিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচারণে উদ্বুদ্ধ করে। এ কারণে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখান আমরা আলোচনা করবো ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে এটি একজন মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে।

ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপনের ধারণা

ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন বলতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলাকে বোঝায়। ইসলামের এই নীতিমালা মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে প্রভাব ফেলে। ইসলামের আদর্শগুলি কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার-আচরণে সীমাবদ্ধ নয়; বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলামের এই পূর্ণাঙ্গতা মানুষকে একটি সুশৃঙ্খল ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।

ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপনের গুরুত্ব

ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপনের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি একজন মানুষের নৈতিকতা ও আদর্শিক ভিত্তি গড়ে তোলে। ইসলাম ব্যক্তিগত উন্নতি ও সামাজিক শান্তির জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলীর অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে। ইসলামের আদর্শাবলী যেমন সৎ কাজ, দয়া, সহমর্মিতা, ন্যায়পরায়ণতা, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদি মানুষকে একজন উত্তম ও সৎ ব্যক্তি হতে প্ররোচিত করে। ইসলাম বিশ্বাস করে যে, যদি একজন ব্যক্তি নিজের জীবনে ইসলামের নিয়মগুলো অনুসরণ করেন, তবে তিনি যেমন নিজের জন্য ভালো করবেন, তেমনি সমাজের জন্যও একটি সুন্দর উদাহরণ হবেন।

ইসলামের নৈতিক ও সামাজিক দিক

ইসলাম মানুষকে নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করে। ইসলামের বিভিন্ন নির্দেশনা যেমন দয়া, সহানুভূতি, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, অন্যের প্রতি দায়িত্ববোধ প্রভৃতি মানুষকে সমাজের প্রতি দায়িত্ববান করে তোলে। এই ধর্মে শিখানো হয়েছে কিভাবে একে অপরের প্রতি সদাচরণ করতে হয় এবং সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করতে হয়। একজন মুসলমান যদি ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন করেন, তবে তিনি তার আশেপাশের মানুষদের সাথে সদাচারণ করবেন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। এ ধরনের আচরণ সমাজে একটি সুখী ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।

ইসলামের আধ্যাত্মিকতা ও ইবাদতের দিক

ইসলামে পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন করলে একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিকতায় উন্নতি লাভ করেন। ইসলামিক ইবাদত যেমন নামাজ, রোজা, জাকাত এবং হজ একদিকে ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়, অন্যদিকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এবং ব্যক্তি তার জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত করতে পারেন। ইসলামের আধ্যাত্মিক জীবনযাপন মানুষকে জীবনের কঠিন মুহূর্তে ধৈর্য ধরতে সহায়তা করে এবং তাদের মনের মধ্যে শুদ্ধতা ও শান্তি আনয়ন করে।

ইসলামের অর্থনৈতিক দিক

ইসলাম অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। ইসলামিক অর্থনীতির মূলনীতি হলো সকলের মাঝে ন্যায্য সম্পদ বণ্টন এবং ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানো। ইসলাম এমন কিছু নীতি প্রদান করে যা অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ইসলামে সুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে অন্যায় এবং আর্থিক শোষণ সৃষ্টি করে। এছাড়াও, যাকাত প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্রদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা হয়, যা সমাজে সমতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইসলামের পারিবারিক জীবন ও নারী অধিকার

ইসলামে পারিবারিক জীবন ও নারী অধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি দায়িত্ব পালন ও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামে নারীদের সম্মান ও অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে, যা তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সমান অধিকার নিশ্চিত করে। নারী ও পুরুষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সম্মান ও দায়িত্বের উপর ভিত্তি করে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করতে উৎসাহিত করে ইসলাম।

ইসলামের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি অর্জন

ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন একজন মানুষকে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করে। ইসলামের প্রতিটি নির্দেশনা ও আদর্শ মানুষকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও আস্থা অর্জনে সাহায্য করে। যখন একজন ব্যক্তি ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন করেন, তখন তিনি নিজের মধ্যে আধ্যাত্মিক শান্তি অনুভব করেন এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন

ইসলাম ধর্মে পরিষ্কারতা এবং অবদান

ইসলাম ধর্মে পরিষ্কারতা একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। পরিষ্কারতা বিভিন্ন দিকে প্রয়োজন, যেমন দেহ ও মানসিক পরিষ্কারতা, সহিষ্ণুতা, শান্তি এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সঠিক নীতি প্রদান করে। ইসলাম শিক্ষা দেয় যে একজন মুসলিমের প্রতিটি ক্রিয়া ও আচরণ অনুগামী হতে হবে ধর্মীয় এবং নৈতিক সূত্রের মধ্যে। পরিষ্কারতার প্রতিটি প্রস্তাব ইসলামের শান্তি এবং সহিষ্ণুতার মধ্যে একটি মূল অংশ হিসাবে কাজ করে এবং একটি সৎ সমাজের গঠনে সাহায্য করে। ইসলামে পরিষ্কারতা অবদান করে মুসলিমদের জীবনের প্রতিটি দিনে আধ্যাত্মিক ও সামাজিক উন্নয়নে এবং তাদের ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক পরিস্থিতির অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ইসলামের জীবনের উপকারিতা অনেক। এটি মুসলিমদের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং আনন্দ সরবরাহ করে। ইসলাম প্রতিটি মুসলিমকে তাদের আধ্যাত্মিক পথের প্রস্থান করতে সহায়তা করে এবং তাদের জীবনে দারিদ্র্য এবং অশান্তির সমস্যাগুলির মুক্তি দিয়ে থাকে। এটি মানবিক সম্পর্কে শান্তি এবং সহিষ্ণুতার বিচারে পরিপূর্ণ একটি পতাকা প্রদান করে। ইসলাম মুসলিমদের মধ্যে প্রেম, সহানুভূতি, এবং মানবতার মহান গুণগুলি প্রচার করে যা একটি সৎ এবং সমৃদ্ধ সমাজের গঠনে সাহায্য করে। ইসলাম পরিস্থিতির মধ্যে আন্দোলনমুক্ত সুবিধা এবং আনন্দের মধ্যে মুসলিমদের আন্তরিক শান্তি এবং সন্তুষ্টির সৃষ্টিতে সাহায্য করে।

পবিত্র আল-কুরআনে উল্লেখ আছে- "হে মুহাম্মাদ (সাঃ) বল, আমার রব নিঃসন্দেহে আমাকে সঠিক নির্ভূল পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। সম্পূর্ণ ও সর্বতভাবে নির্ভূল দ্বীন, তাতে বক্রতার কোন স্থান নেই। ইহা ইব্রাহীমের অবলম্বিত পথ ও পন্থা, যা সে ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও একমূখীতার সহিৎ গ্রহণ করেছিল এবং সে মুসলিমদের মধ্যে ছিল। বল, আমার নামায, আমার সর্বপ্রকার ইবাদত অনুষ্ঠান সমুহ, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহর'ই জন্য।" 
(সূরা আল-আনআম ১৬১-১৬২)।

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ/পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা। যে জীবনব্যবস্থা মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে অতিপ্রিয়। দুনিয়ার প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো দ্বীন বা ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকে। আর এ পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মানবজাতি জন্য এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার চরম প্রয়োজন অনুভব করে আসছিল, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’য়ালার সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। বিশ্ব মানবের এ সম্মিলিত প্রয়োজন মেটানোর মহান লক্ষ্যেই আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে বহু নবী-রাসূল এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছনে। যাতে জগদ্বাসী সর্বোত্তম দ্বীনের অনুসারী হতে পারে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ নিজেদের সেই পুরনো গোমরাহীর ভয়াল সাগরেই নিমজ্জিত রাখল। তারা তাদের ধ্যান-ধারণা, মস্তিষ্ককে সম্পূর্ণরূপে ইসলাম ধর্মের উপর প্রাধান্য দিয়ে নানান উপায়ে ইসলামের বিরোধিতায় করতে লাগলো অথচ তারাই নিজেরই পারলৌকিক শান্তিপ্রাপ্তি ও মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে সঠিক দ্বীনের সন্ধান লাভের জন্য হৃদয়ে চরম ব্যাকুলতা অনুভব করেছিল।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।
(সূরা মায়িদা-৩)

আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র ইসলামই সত্য-সঠিক ধর্ম হিসেবে মনোনীত। তাই তিনি বিশ্ববাসীকে সম্বোধন করে পবিত্র কুরআনের অন্যত্র ইরশাদ করেছেন- ‘তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। 
(সূরা আল-ইমরান-১০২)
ঘোষিত হচ্ছে- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালার কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম’ 
(সূরা আল-ইমরান-১৯)

ইসলামিক জীবন

ইসলামী অনুশাষনই প্রকৃত শান্তির পথ। যে ব্যক্তি ইসলাম অনুসরণ করে সে মুসলমান। মুসলমান হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী। একজন মুসলামের সকল আমল-ইবাদত শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তা’য়ালার জন্য এবং তাকে রাজি-খুশি এবং তার সন্তুষ্টির জন্য সকল কিছু করা। আরো ভালোভাবে যদি বলা যায় তবে- ইসলাম হচ্ছে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পনের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। প্রত্যেক শান্তিকামী মানুষের উচিত পবিত্র আল-কুরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস নিজে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা এবং রাষ্ট্র তথা সমাজে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।


আমরা আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয় কেন সে সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। 

আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করা এবং পৌঁছে দেওয়া এবং এতে আপনাদের সহযোগীতা আমরা একান্তভাবে কাম্য করছি। লেখাটি আপনাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আরো অন্যান্যদের নিকট শেয়ার করে তাদেরও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন