কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব - এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
গুগল এডসেন্স কি এবং গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে?
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনি যদি কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বা এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন তবে আমরা মনে করি আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসে ক্লিক করেছেন। কেননা আজকে আমরা উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিস্তারভাবে আলোচনা করবো।
তাই আসুন আজ আমরা খুব সহজ ভাষায় এবং ধাপে ধাপে আলোচনা করি কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এবং এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তবে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক এবং জেনে নেওয়া যাক টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম গুগল এডসেন্স সম্পর্কে।
পোস্টের মূল পয়েন্টসমূহ: কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এবং এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
গুগল এডসেন্স কী?
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণত ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং দর্শকদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সাইটে স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়, তবে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা বা ফিটনেস সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এটি এমন একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি যা বিজ্ঞাপনের মান এবং দর্শকদের আগ্রহ উভয়কেই গুরুত্ব দেয়।
গুগল এডসেন্সের সুবিধাগুলো কী কী?
০১. সহজ সেটআপ এবং ব্যবহারের সুবিধা
০২. প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ
০৩. বিজ্ঞাপনের বৈচিত্র্য
- টেক্সট বিজ্ঞাপন
- ব্যানার বিজ্ঞাপন
- ভিডিও বিজ্ঞাপন
- ফিড বিজ্ঞাপন
০৪. আন্তর্জাতিক দর্শকদের লক্ষ্য করা সম্ভব
০৫. নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ পেমেন্ট সিস্টেম
০৬. পরিসংখ্যান এবং বিশ্লেষণ সহজলভ্য
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার আগে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
- মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করা: আপনার ওয়েবসাইটে উচ্চমানের এবং মৌলিক কন্টেন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। গুগল এমন কন্টেন্ট গ্রহণ করে না, যা অন্য কোথাও থেকে কপি করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
- আপনার কন্টেন্ট তথ্যপূর্ণ এবং পাঠকদের জন্য উপযোগী হতে হবে।
- কন্টেন্টে বানান ও ব্যাকরণগত ত্রুটি থাকা উচিত নয়।
- আপনার বিষয়বস্তু অবশ্যই গুগলের নীতিমালা মেনে তৈরি করতে হবে।
- ওয়েবসাইটের ন্যূনতম বয়স: গুগল সাধারণত ৬ মাসের কম বয়সী ওয়েবসাইট অ্যাপ্রুভ করে না। এটি প্রধানত ব্যবহারকারীর দেশ এবং ওয়েবসাইটের কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে।
- প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠাসমূহের উপস্থিতি: আপনার ওয়েবসাইটে নিম্নলিখিত পৃষ্ঠাগুলো থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:
- প্রাইভেসি পলিসি: এই পেজটি ব্যবহারকারীদের জানায় যে আপনি কীভাবে তাদের তথ্য ব্যবহার করছেন।
- অ্যাবাউট আস পেজ: এখানে আপনার ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
- কন্টাক্ট পেজ: আপনার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি পৃষ্ঠা থাকা জরুরি।
- নিয়মিত ভিজিটর এবং ট্রাফিক: গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে আপনার সাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুগল চায় যে বিজ্ঞাপনগুলি পর্যাপ্ত দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।
- গুগলের নীতিমালা মেনে চলা: গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই তাদের নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং তা মেনে চলতে হবে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
- কোনো বেআইনি বা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট প্রকাশ করা যাবে না।
- ক্লিকবেইট কন্টেন্ট বা দর্শকদের প্রতারণামূলকভাবে বিজ্ঞাপন ক্লিক করানোর প্রচেষ্টা করা যাবে না।
- সাইটের ডিজাইন এবং গতি: আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে নেভিগেশনযোগ্য এবং মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হতে হবে। সাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত হলে তা দর্শকদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
- নির্দিষ্ট আয়তনের কন্টেন্ট থাকা: গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় আপনার সাইটে ন্যূনতম ১৫-২০টি ব্লগ পোস্ট থাকা ভালো। প্রতিটি পোস্টের দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৫০০-১০০০ শব্দ হওয়া উচিত।
আপনি যদি এই শর্তগুলো পূরণ করেন এবং মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করেন, তবে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়া সহজ হবে। আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমাইজড কন্টেন্ট তৈরি এবং নীতিমালা মেনে চলার মাধ্যমে গুগলের আস্থা অর্জন করুন এবং আপনার আয় বাড়ান।
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব?
একটি একাউন্ট তৈরির ধাপসমূহ
- গুগল একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক: গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। যদি আপনার আগে থেকেই গুগল অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে গুগল একাউন্ট তৈরি পৃষ্ঠাতে যান। আপনার নাম, ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- এডসেন্স ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা: আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করার পর, গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এখানে "Get Started" বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
- ওয়েবসাইটের তথ্য প্রদান করা: এডসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের URL জমা দিতে হবে।
- আপনার সাইটটি হতে হবে নীতিমালা অনুযায়ী।
- কোনো বেআইনি, প্রাপ্তবয়স্ক বা কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট থাকা যাবে না।
- ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করা: এডসেন্স একাউন্টের জন্য আপনাকে আপনার নাম, ঠিকানা, এবং পেমেন্ট সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে। এই তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন, কারণ ভবিষ্যতে পেমেন্ট পেতে এটি প্রয়োজন হবে।
- এডসেন্স কোড ইনস্টল করা: গুগল এডসেন্স আপনার জন্য একটি HTML কোড প্রদান করবে। এই কোডটি আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট স্থানে যোগ করতে হবে। এটি গুগলকে আপনার সাইটের কার্যক্রম মনিটর করতে এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।
- পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করা: আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর গুগল আপনার সাইট পর্যালোচনা করবে। সাধারণত ১-২ সপ্তাহ সময় লাগে। এই সময়ে নিশ্চিত করুন যে আপনার সাইটে কোনো সমস্যা নেই।
এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই করার প্রক্রিয়া
- ঠিকানা ভেরিফিকেশন (PIN Verification): গুগল এডসেন্স আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করতে একটি PIN (Personal Identification Number) প্রেরণ করে। প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- আপনার এডসেন্স অ্যাকাউন্টে $১০ আয় হলে গুগল একটি PIN জেনারেট করবে।
- এই PIN পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার দেওয়া ঠিকানায় পাঠানো হবে।
- আপনি PIN পাওয়ার পর, তা এডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগইন করে নির্ধারিত স্থানে প্রদান করুন।
- পেমেন্ট পদ্ধতি যোগ করা: আপনার আয় পেতে একটি বৈধ পেমেন্ট পদ্ধতি যোগ করতে হবে। সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়া যায়।
- ব্যাংকের সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
- গুগল একটি সামান্য পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবে।
- আপনি সেই স্থানান্তরের পরিমাণ নিশ্চিত করলে, পেমেন্ট পদ্ধতি ভেরিফাই হয়ে যাবে।
- ট্যাক্স তথ্য প্রদান করা: গুগল এডসেন্স ব্যবহারকারীদের ট্যাক্স তথ্য প্রদান করতে হয়। এটি নির্ভর করে আপনি কোন দেশে অবস্থান করছেন।
- ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করুন এবং সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
- ট্যাক্স তথ্য ভেরিফাই হলে আপনার আয় বৈধভাবে পাওয়া যাবে।
- ডোমেইন ভেরিফিকেশন: গুগল এডসেন্সে যোগ দেওয়ার পর, আপনার ডোমেইনের মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।
- ডোমেইনের সেটিংসে গিয়ে গুগল প্রদত্ত কোডটি যোগ করুন।
- গুগল তা যাচাই করে নিশ্চিত করবে যে আপনি ডোমেইনের বৈধ মালিক।
- ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং নীতিমালা মেনে চলা: আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিজিটর থাকা উচিত এবং গুগলের নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
- যদি আপনার সাইটে প্রতিদিন ভিজিটর সংখ্যা কম হয়, তবে অ্যাপ্রুভাল পেতে অসুবিধা হতে পারে।
- নিশ্চিত করুন যে আপনার সাইটে কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কোনো কন্টেন্ট নেই।
গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট খোলার এবং ভেরিফাই করার প্রক্রিয়া সহজ হলেও গুগলের নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এবং সফলভাবে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে পারবেন।
কিভাবে গুগল এডসেন্সে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল সংযুক্ত করবেন?
০১. আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন
- গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
- গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটে যান।
- আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাইন ইন করুন।
- একবার লগইন করলে, আপনি এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করবেন।
সাইট বা চ্যানেল যোগ করার মাধ্যম
- ড্যাশবোর্ড থেকে "Sites" অপশনটি ক্লিক করুন।
- "Add Site" বাটনে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের URL যোগ করুন।
- গুগল একটি HTML কোড প্রদান করবে যা আপনার সাইটে যোগ করতে হবে।
- এই কোডটি আপনার ওয়েবসাইটের <head> সেকশনে যুক্ত করুন।
ইউটিউব চ্যানেল সংযোগের জন্য
- ইউটিউব স্টুডিওতে যান এবং আপনার চ্যানেল সেটিংসে ক্লিক করুন।
- "Monetization" অপশনটি চালু করুন।
- গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার অপশনটি নির্বাচন করুন।
- আপনার এডসেন্স অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিন।
০৩. যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
- ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল সংযোগের পরে, গুগল আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাই করবে।
- সাধারণত ২৪-৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
- এই সময়ে নিশ্চিত করুন যে আপনার ওয়েবসাইট বা চ্যানেল গুগলের নীতিমালা মেনে চলছে।
০৪. বিজ্ঞাপন প্রদর্শন শুরু করুন
- যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন শুরু করতে পারবেন।
- এডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগইন করে বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করুন।
- এই ইউনিটের কোড আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করুন।
- ইউটিউবের ক্ষেত্রে, গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন স্থাপন করবে।
পেমেন্ট সেটআপের ধাপসমূহ
০১. পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করুন
- গুগল এডসেন্সে পেমেন্ট পেতে হলে প্রথমে একটি পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে।
- "Payments" ট্যাবে যান।
- "Add Payment Method" অপশনে ক্লিক করুন।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অন্য উপলব্ধ পদ্ধতির তথ্য দিন।
০২. ব্যাংক তথ্য যোগ করুন
- আপনার পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- ব্যাংকের নাম, শাখা, এবং SWIFT কোড প্রদান করুন।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সঠিকভাবে লিখুন।
- গুগল একটি সামান্য পরিমাণ অর্থ আপনার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবে যাচাইয়ের জন্য।
০৩. ট্যাক্স তথ্য প্রদান করুন
- গুগল আপনার আয় বৈধ করার জন্য ট্যাক্স তথ্য চায়।
- আপনার দেশের ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করুন।
- সঠিক তথ্য নিশ্চিত করুন, কারণ এটি ভবিষ্যতে আয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
০৪. পেমেন্ট থ্রেশোল্ড পূরণ করুন
- গুগল এডসেন্সে পেমেন্ট তুলতে হলে আপনাকে $১০০ পেমেন্ট থ্রেশোল্ড পূরণ করতে হবে।
- আপনার অ্যাকাউন্টে $১০০ পৌঁছালে, গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট প্রক্রিয়া করবে।
- পেমেন্টের জন্য নির্ধারিত তারিখ প্রতি মাসের ২১-২৬ তারিখের মধ্যে।
০৫. পেমেন্ট রিলিজ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করুন
- পেমেন্ট রিলিজ হওয়ার পর, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এটি স্থানান্তরিত হতে ২-৫ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে।
- পেমেন্টের সময় ব্যাংক ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
- আপনার অ্যাকাউন্ট রেকর্ড নিয়মিত চেক করুন।